Sunday, February 28, 2010

আমি এই ভাবে বেঁচে আছি...

কোথায় যেন পড়েছিলাম, মনে করতে পারছি না ঠিক! প্রতিটা মানুষকেই কেবল তার নিজের জীবনের গল্প পুর্ন করতে হয়। সেখানে ওই মানুষটিই মুল চরিত্র। অন্যরা তাকে শুধুই সাহায্য, সহ্য, সমালোচনা কিংবা অবজ্ঞা করলো কিনা তাতে সত্যিই কিছু যায় আসেরা! সেই মানুষটি তার নিজের কাজ করে যায়। কেননা, সেটাই তার নিয়তি...

ইদানিং এমন নিয়তি কাছেই সপে দিয়েছি নিজেকে। শুধু স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছি। যা হবার হোক, এর মধ্যে যা হয়েছে তারচেয়ে বেশি আর কি হতে পারে? কিংবা আরো অনেক সৌন্দর্যই বাকী! হয়তো জীবনের সেরাটা দেখা হয়নি। হয়তো আমার প্রতীক্ষায় আছে কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া কিছু.. হয়তো নেই! কিন্তু আমি আর কি করে যেতে পারি, শুধু নিজের ওই জীবন কাহিনীকে পুর্ন করা ছাড়া? আমার এই পথচলা কেউ দেখলো কিনা কিংবা ইশ্বর আমার কথা শুনলেন কিনা সেটা কি খুব গুরুত্বপুর্ন?

আমাকে শেষ করতেই হবে। আমাকে হেটে যেতেই হবে আরো কিছুটা পথ। রাজী আমি ঝুকি নিতে.. কি হবে কি হতে যাচ্ছে, এখনই ভাবতে মন চাইছে না!

আসলে বড় বেশি নিয়তি ছুঁয়ে ফেলেছে আমাকে...

Thursday, February 25, 2010

মাসুদ, মিনহাজ এবং আমি...

আমরা হুজুগে জাতি! একবার কিছু একটা রটলেই হলো, আমরা হয়ে যাই এর অংশ। যতোক্ষণ না সেটা ডুবে যায় ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা এর পেছনে লেগে আছি!

আমিও সেই স্রোতেই গা ভাসালাম.. কিছুদিন হলো শেয়ারবাজারে যোগ দিয়েছি। জন্য অবশ্য মাসুদের অবদানটাই বেশি। তার বারবার তাগিদই আমাকে অনুপ্রানিত করেছে। সঙ্গে মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে আসার পর তো আমার মতো অনেকেই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সেজেছেন। গ্রামীনের শেয়ার অবশ্য আমি পাইনি। ব্যক্তিগতআমিবলাটা অবশ্য ঠিক হচ্ছে না। যেমনটা বলছিলাম মাসুদের কথা। - আসলে সবকিছু। সঙ্গে আমি আর ডাক্তার মিনহাজ কিছু টাকা বিনোয়োগ করেছি। তিনজনে মিলিয়ে সেটা প্রায় দুই লাখ টাকার কাছাকাছি। নিশ্চিত করেই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের শেয়ারবাজারে এটা মামুলি। কিন্তু শুরু যে করেছি সেটাও বা কম কী!


এরইমধ্যে দুতিনটা কোম্পানির প্রাইমারি শেয়ার পেয়েও গেছি। মাসুদের কাছে শুনলাম, তাতে লাভও মন্দ হবে না। কিন্তু বিক্রি করেনি এখনো। এতো তাড়াহুড়ো করে লাভ কি? প্রাইমারি শেয়ারে তো লস বলে কিছু নেই!


লস অবশ্য হতে পারে এবি ব্যাংকের শেয়ারে। সেকেন্ডারি শেয়ার কেনার পর থেকে এর মুল্য কমে গেছে। শুনেছি প্রতিটি ব্যাংকেরই নাকি একই অবস্থা। তবে শিগগিরই দর বাড়বে। কিন্তু সমস্যা হলো মাসুদ ইদানিং অন্য ব্যস্ততায় জড়িয়েছে। চাঁদপুরে তারা কয়েকবন্ধু মিলে একটা কিনিক দাড় করারোর চেস্টা করছে। তাতে শেয়ারবাজারে খুব একটা সময় দিতে পারছে না ও। আশা করছি এই ব্যাপারটাও সমান গুরুত্ব পাবে ওর কাছে। আমার দেখা সিনসিয়ার মানুষদের যদি খুব সংক্ষিপ্ত একটা তালিকা করি তাহলে অনেক ওপরেই রাখতে হবে তাকে। আমার প্রিয় মানুষদের একজন মাসুদ। ওর প্রসঙ্গে অন্য একদিন অন্য একটা পোস্টে বড় করে লেখার আশা করছি!

মতিঝিলের ওই স্টক মার্কেটকে ঘিরে অনেক গল্পই শুনি। শুনি মাত্র এক লাখ টাকা পুজি বিনোয়োগ করে কোটি টাকার মালিক হওয়ার গল্প! আবার শুনি পুজি খুইয়ে পাগল হওয়ার গল্পও।


অনেক পরিশ্রমী মানুষই এখন ভাগ্য বদলের জন্য ছুটছেন ব্যাংক পাড়ার ওই শেয়ার বাজারে। ঢাকার যা অবস্থা তাতে এক চাকুরি করে টিকে থাকা কঠিন! অবস্থায় একটু সিরিয়াস হলে হয়তো ওই কাংখিত গল্প নিজেদের জীবনেও যৌক্তিক হয়ে ধরা দিতে পারে! চোখ কান খোলা রাখলে নাকি তো সবই সম্ভব।


মাসুদ, মিনহাজ এবং আমার শেয়ার মার্কেট যাত্রা যখন শুরু হলো-তখন স্বপ্ন বুনতে বাধা কোথায়? আমরা স্বপ্ন দেখছি..
.

Wednesday, February 24, 2010

নামকরন


একেবারে সোজা করে বলছি-গত সংসদ নির্বাচনে আমার ভোট আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রিত মহাজোটের বাক্সে গেছে এছাড়া অন্য কোন বিকল্পও ওই মুহুর্তে আমার সামনে ছিল না দিবদলের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ওরা


ভাবছিলাম, দিনটা যদি বদলই হয়, মন্দ কী! এভাবে আর মরার মতো বাচবো কতোদিন! জাতি ঠিকই জেগে উঠেছিল গত সংসদ নির্বাচনে রেকর্ড আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে মহাজোট এতো বেশি আসন আওয়ামী লীগ পেয়েছে যে তারা ইচ্ছে করলে সংবিধান নতুন করে লিখতে পারে! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মন্ত্রী সভার নতুন মুখ দেখে ভাবছিলাম, দিন বদল বুঝি হচ্ছেই!

কিন্তু এক পেরিয়ে এসে অনেক হিসেবই যে মিলছে না বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকে যদি সাফল্য দেখি, তাহলে একবছরে অর্জন ওই একটাই! এছাড়া উল্টো পথেই হেটেছে শেখ হাসিনা সরকার বিএনপি-জামাত জোট সরকার কিংবা ফকরুদ্দিন সরকার থেকে তাদের খুব একটা আলাদা করা যাচ্ছে না সেই একই সংকীর্ন রাজনীতিতেই গা ভাসিয়েছে ওরা


সত্যি করে যদি ১৫ কোটি মানুষের এই বাংলাদেশের দিকে যদি চোখ রাখি তবে প্রথম যে সমস্যাটা চোখে পড়ে তা হলো দারিদ্রতা! কাজ নেই কাজ নেই শিক্ষিত তরুনদেরও প্রতিদিনই বাড়ছে চাকুরি প্রাথীদের ভীড়! সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই যোগ হয়েছে বিদুৎ সমস্যা! যোগ হয়েছে গ্যাস সমস্যা সবমিলিয়ে শুধু আমাদের জীবনটাই দুঃসহ হয়ে উঠেনি সঙ্গে বন্ধ হতে চলছে আমাদের শিল্পের চাকাও গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সবধরনের কলকারখানাই বন্ধ হওয়ার পথে! বন্ধ হওয়ার পথে প্রিয় ঢাকা শহরও জানজট এমন অবস্থা দাড়িয়েছে যে মতিঝিল থেকে আমার অফিস কারওয়ান বাজারে যেতে সময় লাগে ঘন্টা! শুক্রবার সরকারী বন্ধের দিন লাগে মাত্র ১০ মিনিট! জিনিস পত্রের দামের প্রসঙ্গটাও চলে এসেছে সামনে! টাকা যেন মুল্যহীন হয়ে গেছে!


কিন্তু এতোসব সমস্যা সমাধানের কথা কি সত্যিই ভাবছে আমাদের ভোটে মতায় আসা এই সরকার? সময় আরো পড়ে রয়েছে বছর কিন্তু আমার আপত অনুধাবন-সেই নোংরা রাজনীতির বলয় থেকে দিনবদলের সরকারও বেরিয়ে আসতে পারেনি


এখন শুরু হয়েছে নামকরন আর নামবদলের রাজনীতি! দেখলাম ২৯ বছর পর জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টে ফেলেছে সরকার একইসঙ্গে জিয়াউর রহমানের নামে সব স্থাপনার নামই বদলে ফেলা হচ্ছে!
কিন্তু প্রশ্ন হলো এই বিষয়গুলো সত্যিই প্রয়োজন ছিল এখন? এরচেয়ে বড় ইস্যু কি ছিল না?


অবাক হয়েছি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপিকে শাস্তি দিতেই নাকি তারা এটা করছে! আহ! কি প্রতিহিংশা পরায়ন এই রাজনীতি! এটাই কি দিনবদলের নমুনা!
কালের কন্ঠ সম্পাদক আবেদ খান ওইদিন তার কলামে এমন নামবদলের বিষয়টির সমালোচনা করেছেন কেননা, এভাবে নমবদল করায় মোটা অংকের অর্থও খরচ হবে সরকারের! পড়তে হবে নানা ঝামেলায় গরব দেশের জন্য সেটা কতোটা যৌক্তিক? যখন আমাদের এতো সমস্যা তখন এমন কৃত্রিম সমস্যা তৈরি করা কেন?


জানি না কার বুদ্ধিতে সরকার এইসব করছেন অনুরোধ করবো মুল সমস্যার দিকে চোখ দিন

আবার আমাদের বিরোধী দলও হাটছে তাদের মতো যে সমস্যাগুলো জনগনের তা নিয়ে তারা ভাবছে কোথায়? বেকার সমস্যা, বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে একটা কথা বলছে না ওরা জিয়ার নাম কেন পাল্টে গেলো এটাতেই মজে আছে তারা!
আর তাতে এই আমরা জনগনই চিড়েচ্যাপটা হচ্ছি এমন রাজনীতির হাত থেকে কি মুক্তি নেই?

কবে পাল্টে যাবে আমার প্রিয় দেশ? কবে দুই নেত্রী শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়া একসঙ্গে বসে ভাবছেন শুধু আমাদের কথা? কখন আসবে সেই দিন, প্রতীক্ষায় থাকি..


Monday, February 22, 2010

জাহাপনা তুসে গ্রেট হু!

আমির খান মানেই ক্লাসিক বলিউডের অন্য আটদশজন নায়কের মতো তিনি নন, খুব বেছে বেছে কাজ করেন তিনি কেয়ামত সে কেয়ামত তক দিয়ে শুরু, এরপর আমিরের ছবি মানেই অন্যরকম স্বাদ!
তাই ছবি দেখতে সিরিয়াস ভঙ্গি নিয়ে বসেছিলাম কিন্তু ভুল ভাঙ্গলো শুরুতেই এটা ঠিক সিরিয়াস মুডে থাকার মতো ঠিক নয় শুরু থেকেই তিন ইডিয়ট মাধবন, শারমান জোসি এবং আমির খানের ফান চলতে থাকলো আরো একটা বিষয় চোখে পড়লো, বেশির ভাগ আমির খান অভিনীত ছবিই ..
* অসম্পুর্ন (পরে একসময় লিখবো সম্ভবত..)

Tuesday, February 16, 2010

সেভ আওয়ার টাইগার্স




সেদিন টেলিভিশনে এই বিজ্ঞাপনটা দেখছিলাম। আর মন বিষন্নতায় ছুয়ে যাচ্ছিল! আহারে কি কিউট বাঘ, তার মা হারাচ্ছে! বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাঘ।

পাশের দেশ ভারতে বাঘ বাঁচানোর জন্য এমন কর্মসুচী চলছে এখন। যেখানে ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অনেক তারকাই যোগ দিয়েছেন। নানাভাবে তারা বোঝাচ্ছেন! বন্য প্রানীটিকে নিরাপদে বাঁচতে দিতেই হবে!

কিন্তু আমরা কি ভাবছে এটা নিয়ে। এইতো কিছুদিন আগেই দেখলাম-সাতক্ষীরায় গ্রামবাসী মিলিয়ে পিঠিয়ে মেরেছে এক বাঘ! জনারন্যে বাঘ আসছে তখন তাকে আটকানোর বদলে একেবারে মেরে ফেলা হচ্ছে! প্রায়ই এমন ঘঠনা ঘটছে বাংলাদেশে! এভাবে চলতে থাকলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশ একদিন টাইগার শুন্য হয়ে যাবে! আশংকা সেই দিন বুঝি বেশি দুরে নেই...

দ্বায়িত্বশীলরা কি কিছু শুনতে পারছেন?