Monday, June 25, 2007

তসলিমাকে দেশে ফিরতে দেয়া উচিত


একটু আগে পড়ছিলাম দৈনিক আমাদের সময়ে লেখা আলোচিত লেখক তসলিমা নাসরিনের কলাম -তুমি ভালো থাকো প্রিয় দেশ! পড়তে পড়তেই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠলো! আগস্টের ১৭ তারিখ মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপর অনুমতি না পেলে ভারত ছাড়তে হবে তাকে।
ভারত তো ছাড়তে চানই তসলিমা নাসরিন। ফিরে আসতে চান প্রিয় স্বদেশে; যেখানকার আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছেন।যেখানে অনেক স্মৃতি জমে আছে তার। কিন্তু সে সুযোগ তার জন্য নেই।
তসলিমার অপরাধ? আমাদের তথাকথিত মৌলবাদীদের ঠুনকো ধর্মানুভুতিতে আঘাত হেনেছেন! ধর্মের বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন! তাকে দেশে ফিরতে দিলে সর্বনাশ হয়ে যাবে! হাস্যকর সব যুক্তি।
কিন্তু যাদের প্রনোদণায় হয়ে উঠেছেন আজকের এই তসলিমা নাসরিন, তারাও নিশ্চুপ। ক' প্রকাশের পর তাদের মুখও বন্ধ। তাকে দেশে ফিরতে দেয়া উচিত এই কথা এখন খুব কম মানুষই বলছেন।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরতে দেয়া উচিত। তার লেখার জবাবটা লেখা দিয়েই হওয়া উচিত। আর ধর্ম তো আর এতো ছোট বিষয় নয় যে একজন তসলিমা নাসরিন ভুল ধরলেই তাতে পচন লেগে যাবে! এভাবে কারো দেশে ফেরার অধিকারটুকু কেড়ে নেয়ার কোন মানেই হয়না।
.................
তসলিমা নাসরিনের কলামের কিছু অংশ তুলে ধরা দিলাম-

ভারতে থাকার অনুমতি না পেলে আমি কোথায় যাব, আমি জানি না। দূরে কোথাও কোনও বরফের দেশে আবারও আমাকে আশ্রয় খুঁজতে হবে- এরকম ভাবা আর মৃত্যুর কথা ভাবা আমার কাছে অনেকটা একই রকম। আমি তো আর একটি দেশে ফিরতে পারতাম, যে দেশটি এখন আমার প্রতিবেশী দেশ! কিন' ফিরব কী করে, সে দেশে আর যে-কারওরই অধিকার থাকুক পা দেবার, আমার নেই। আমি যেন দেশটির ভীষণ শত্রু, আমার জন্য দরজা চিরকালের মতো বন্ধ। মানবতার কথা বলা বা সমানাধিকারের দাবি করাকে তো অন্যায় হিসেবে জানি না কোনও দিন। শাসকের চোখে, কট্টরপন্থী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধদের চোখে তা ভীষণ অন্যায়। আমাকে নির্বাসন দণ্ড দেয়া হয়েছে সেই কবে, যুগ পেরিয়ে গেল। যাবজ্জীবনেরও তো একটা শেষ থাকে। আমার এই দণ্ডের কোনও শেষ নেই। সম্ভব মৃত্যু ছাড়া এই নির্বাসন থেকে মুক্তি নেই আমার।

Saturday, June 2, 2007

কাক কবিতা কিছু কথা...

কবিতা লেখা খুব সহজ! এটা আমার কথা না। এমন কথা বলে বির্তক উস্কে দিতে যাবো কেন? এই ব্লগেই যেন কোথায় দেখেছি, একজন তার মন্তব্যে লিখেছে । কবিতা নিয়ে গবেষনা ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগেই। একবার জীবনানন্দ দাসের কবিতা 'এডিট' করতে গিয়ে অনেক শিক্ষা হয়েছে। কানে ধরেছি, আর না। সেই ঘটনা পরে বলছি। আগে একটা কবিতা শুনুন
......................
হাইকুমতোন

আমি উঠে যাচ্ছিলাম 70 তলায়
বসুন্ধরায়
কিছুটা সিড়িতে, কিছুটা লিফটে, কিছু
এলিভেটরে
হাতে সর্বশেষ প্রসেসর এক তিল
সারা পথ আমার পিছু পিছু
শ্বব্দ করে
ব্যাঙ ডাকছিল
..................
কবিতাটা আমার লেখা না। এতো জ্ঞানী কবিতা লেখার মতো জ্ঞান আমার নাই। লিখেছেন দেশের প্রধান কবিদের একজন আলতাফ হোসেন। এইতো কিছুদিন আগেই সাময়িকীগুলোতে দেখেছি শামসুর রাহমান আর আবুল হোসেনের পরই উনার কবিতা। কে লিখেছেন সেটা আসলে এখানে ঘটনা না। বড় পত্রিকার সাহিত্য পাতায় গুরুত্ব দিয়েই ছাপা হয়েছে এটি। কবিতাটার অর্থ আবিস্কার করতে পারছিলাম না বলেই এখানে তুলে ধরলাম। এখনকার অনেক কবিতাই বুঝিনা। তারপরও পড়ে যাই রাইসু ভাই আর তার ভাইবেরাদের কবিতা।

এবার জীবনানন্দের কবিতা প্রসঙ্গে আসি। আমি তখন হাই স্কুলে মাত্র ভর্তি হয়েছি। তাতে কি? কবিতা- টবিতা লেখা শুরু করে দিয়েছি। সুকান্তর অনুকরনে কলম- কাগজ এমন কোন জিনিস নাই যা নিয়ে কবিতা লেখার চেস্টা করিনি। এরইমধ্যে একদিন আমার বড় বোন একটা কবিতা দেখিয়ে বললো_ আমি লিখেছি, পড়ে দেখ- কেমন হয়েছে। বিজ্ঞের মতো কবিতা পড়ে বললাম ভাল হয় নাই, সাধু আর চলিত ভাষার মিশ্রনে কবিতার বারোটা বাজিয়েছিস। কেটেকুটে আমি ঠিক করার পর শুনলাম এটা জীবনানন্দ দাসের কবিতা !!! জিহবায় কামড় দিয়েছি এরপর থেকে কবিতা নিয়ে আর কপচাই না।
অনেক কথা হয়েছে আরেকটা কবিতা শুনেন
...............................................
জন্তুর কান্না
জন্তুর কান্না
রক্তের অশ্রু
রক্তের অশ্রু
জন্তুর কান্না
রক্তের অশ্রু
রক্তের অশ্রু
জন্তুর কান্না
...........................
এইটার লেখক সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ। কোথায় যেন শোনলাম নকল করে নাকি এই কবিতা দুনিয়াতে এনেছেন তিনি। সেই তর্কে যাওয়ার ইচ্ছে নাই। তবে এইসব দেখে ইদানিং আমারো মনে হচ্ছে কবিতা লেখা আসলেই সহজ!
কিন্তু কথা হলো এইসব কি আসলেই কবিতা? কবিতার কি কোন অর্থ থাকবে না? লিখে দিলেই হলো! উত্তরাধুনিক আর অ্যাবসার্ড বলে একটা কিছু লিখে দিলেই হলো!
আসলে সবচেয়ে ভাল উত্তর আসলে দিতে পারবেন আমাদের পত্রিকাগুলোর সাহিত্য সাময়িকীর সম্পাদকরা। পাঠক হিসেবে আমরা আর কী করতে পারি...

বিড়াল যন্ত্রনা


পড়াশুনা আর অফিস - দুটো চালাতে গিয়ে হাপিয়ে উঠেছি । কিন্তু ওই দিন বাসায় ফিরে মনটা ভাল হয়ে গেলো । দেখি আমার খাটের ওপর বসে আসে দুটি বিড়াল । খেলা করছে । দেখেই কেন জানি মনটা ভাল হয়ে গেলো । এমন সুখী চেহারা অনেক দিন পর দেখলাম । দোকান থেকে ফুওয়াংয়ের বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিলাম । প্রথমেই খুলে তাদের দুজনকে দিলাম । কুট কুট করে বিড়াল বিস্কুট খাচ্ছে - দেখতে ভালই লাগলো । কিন্তু সকালে বাধলো সমস্যা। আমার মা বললেন দুই আপদ জুটেছে কোথথেকে । যা গলির মুখে ফেলে দিয়ে আয় ।
আমি আপত্তি জানালাম - কেন ফেলবো? থাকুকনা । মিউমিউ করে পায়ের কাছে ঘেষছে .. । কি কিউট ! মা বললেন দেখা যাবে এই আহলাদ কদিন থাকে ।
এদিনও অনেক কাজের ধকল গেছে অফিসে । আবার রাত জেগে পড়াশুনা করতে হবে - । মন মরা হয়ে রাতে ফিরলাম বাসায়। ফিরে দেখি - একি আমার বিছানা তছনছ করে রেখেছে দুষ্ঠ দুই বিড়াল !!!
খাওয়া - দাওয়া করে বিছানায় বসে পেপার পড়তে গিয়ে দেখি সর্বনাশ !!!!!!! প্রায় পুরো বিছানাই ভেজা । বুঝতে বাকি রইলো না । কি আর করা সোফাতেই চলে গেলাম । হায় !!! এখানে অবসথা আরো খারাপ । দুই নাম্বার কাজটা এখানে সেরেছে বিড়াল দুটি।
সেই দিন থেকে শুরু হলো বিড়ালের বিরুদ্ধে আমার জিহাদ !! ঠিক করেছি বস্তার ভিতরে ভরে গলির মুখে ফেলে দিয়ে আসবো । কিন্তুপাশের বাসার রাকিবের আব্বার তাতে বড় আপত্তি। উনার দাবি এরপর নাকি বিড়ালটা তাদের বাসায় যাবে! উপায় কি ? বললেন মেরে ফেলো । পশু হত্যা !! না আমি পারবো না । উনি বললেন বিড়াল মারা তো অপরাধ নয় । 4 কেজি লবন কাফফারা দিলেই তো পাপ মোচন । বলে কি । এতো সহজ ? লবনের কেজি তো এখন 13 টাকা। দুইটা মারলে 8 কেজি । কতো আসে ? 104 টাকা ।
কোন সমস্যা নাই । এই উৎপাত খেকে বাচতে তাই করবো । কিন্তু তার আগে জানা দরকার বিড়াল দুটি কার ? সেটা তো দরকার ই সাথে আমার মায়ের পরামর্শটাও খারাপ লাগলো না । তিনি বলেছেন - যদি কেউ সুন্দর এই বিড়াল দুটি নিতে চায় - তবে তাকে দিয়ে দে । এ কারনে এই লেখা । ভাই / বোনেরা কেউ কি এই বিড়াল দুটো নিবেন ? না হলে কিন্তু আমি মেরে ফেলবো ।মাত্র 8 কেজি লবন !
আর এজন্য যদি আমার পাপ হয় - তার অংশ আপনাদেরও নিতে হবে । কি করবেন বলুন ।
আমি কিন্তু না হলে মেরে ফেলবো ।
ও এখানে তো অনেক বিড়াল প্রেমী আছে । আপনারা কি বিড়াল দুটো নেবেন ? আপনার বাসার ঠিকানা দেন আমি রিকশা করে পৌছে দিয়ে আসবো ।
না হলে আমি কিন্তু 8 কেজি লবন দিয়ে শেষ করে ফেলবো বিড়াল দুটো কে !!!

সাইমুম ভা ই এবং আনিকা বুশরার ফ্যান...


কাজ কাজ করতে হাপিয়ে উঠেছিলাম সেদিন । ঠিক তখনই এক প্রেমিকের ফোন - ভাই আমি একটু আনিকা বুশরার সাথে দেখা করতে চাই । আমি উনার ফ্যান । ফ্যান কথাটা শুনেই হাসতে শুরু করলাম । বেচারা মনে করেছে একটা মেয়ের খোজ করছে বলে তাকে নিয়ে হাসছি । আসলে ঘটনা পুরোটা তা নয় । আনিকা বুশরার একজন ভক্ত এসেছেন , তার সাথে দেখা করতে চায় । আমাদের বস কায়সার ভাইকে তথ্যাটা দিতেই তিনিও হাসতে শুরু করলেন । ওই দিকে বেচারর কি যে আকুতি - ভাই আমাকে শুধু একবার আনিকা বুশরার সাথে দেখা করতে দেন । আমার জীবনে আর কোন আক্ষেপ থাকবে না । কি আর করা তাকে অফিসে আসতে বললাম । ইন্টারমেডিয়েট পড়ুয়া সেই ছেলেটি একদিন আসলো আমাদের অফিসে । তার লাজুক চেহারা মনে পড়লে হাসি পায় । আবার খারাপও লাগে ।
ওই দিন আনিকা বুশরার জন্য কিছু উপহারও নিয়ে এসেছিল ছেলেটি ।
আমরা যেই বললাম আনিকা বুশরা আপনার সাথে দেখা করতে পারবেনা । সমস্যা আছে ।
কেন কেন ? বলে চিৎকার করে উঠলো ছেলেটি । আমরা যতোভাবে বুঝাই কাজ হয়না । শেষে চলে যাওয়ার আগে চোখের জল ফেলতে ফেলেতে ছেলেটি বলে গেছে - আমার ভালবাসা মিথ্যে হতে পারে না । আনিকা আমার সাথে দেখা করবেই।
এবার আনিকা বুশরা প্রসঙ্গে আসি । আমাদের পত্রিকার খেলার পাতায় নিয়মিত এই নামে ছাপা হয় একাধিক ফিচার । তিনি আমাদের প্রদায়ক । কিন্তু ওই নামের আড়ালে আছেন অন্য আরেকজন -। তিনি আর কেউ নন - আমাদের এই ব্লগের নাম বিশারদ সাইমুম ভাই !!!! আর আনিকা বুশরা তার 3 বছর বয়সী মেয়ে ।
আমরা কি করবো ? আনিকা বুশরা ভক্তকে সাইমুম ভাইয়ের ফোন নাম্বার দিয়েছি ।
অন্যের নাম নিয়া গবেষনা করতে করতে নিজে যে এবার কোন বিপদে পড়লেন সাইমুম ভাই জানে ?
জানতে হবে এরপর কি হলো ?