Wednesday, January 23, 2008

ভোকাট্টা ঘুড়ি

শৈশব স্মৃতি এ কারনেই মধুর, কারন তখন কোন শৈশব স্মৃতি ছিলনা ; ফেলে আসা সেইসব দিনের গুরুত্বটা এভাবেই ব্যখা করেছিলেন কোন এক দার্শনিক। সেই দুর্লভ শৈশব আবারো ফিরে আসার যখন হাতছানি , তখন সুযোগটা মিস করবো কেন?
কক্সবাজার যাচ্ছি। পৃথীবির সবচেয়ে দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতে ঘুড়ি উৎসব! জাতীয় ঘুড়ি উৎসব। কায়সার ভাই যখন বললেন 'যাবেন নাকি কক্সবাজার? তিন দিনের টুর' -তখন একটু দ্বিধা নিয়ে বলেছিলাম ‌'যাবো'।
দ্বিধায় থাকার কারন একটাই -শুক্রবার ক্রীড়া লেখক সমিতির নির্বাচন। আমার অনেক প্রিয় মানুষই এরইমধ্যে ফোন করে বলেছেন ‌তাদের ভোট দেয়ার জন্য। অনেক দিন পর অনেকের সঙ্গে দেখা হবে সেটা ভোটের চেয়েও বেশি হয়ে উঠেছিল। তাইতো এই দ্বিধা। কিন্তু যখন শুনলাম -ঘুড়ি উড়ানো উৎসব, তখন মনে হলো এমন গেট টুগেদার অনেক করা যাবে, ভোট দেয়া টেয়া ফালতু ব্যাপার! ফিরে যাই না একটু সেই শৈশবে...
বাবু'র সঙ্গে যোগাযোগ করে জানলাম রাকিবও যাবে। তারা দুজনই আমার ভোরের কাগজের সহকর্মী, বন্ধু। দুজন অবশ্য আমারই মতো এখন ঠিকানা বদলে ভিন্ন জায়গায়। ওরা থাকছে ; মন্দ হবে না কক্সবাজার মিশন।
আমি অবশ্য শৈশব ফিরে পাবো বলেই রোমাঞ্চিত! মনে আছে এখনো -সেই ছোট বেলা, ঘুড়ি উড়ানো, সুতো কেটে যাওয়া এরপর কান্নাকাটি...
হারিয়ে গেছে সব!
কে বলেছে হারিয়ে গেছে সব, শুক্রবারই তো আবার হাতে তুলে নেবো নাটাই! ঘুড়ি উড়াবো সমুদ্র সৈকতে। সব টেনশন একপাশে সরিয়ে রেখে ওই ঘুড়ির মতো উড়ে বেড়াবো ইচ্ছে মতো!
গত বছর সেন্ট মার্টিনে বেশ উপভোগ করেছিলাম। এবারো প্রতিটি সেকেন্ড উপভোগের পরিকল্পনা নিয়েই যাচ্ছি। ট্র্যাকিংয়ে গিয়ে আসলে শুয়ে থাকার কোন মানে হয়না। শুনেছি রাকিবের ছোটভাই এখন ওখানে আছে। ওর কাছ থেকে একটা জিপ পাওয়া গেলে বেশ জমবে!
কাল মানে বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িতে উঠবো। এমনিতে বাস জার্নি আমার খুব একটা পছন্দের নয়। আশা করছি সবার সঙ্গে মন্দ হবেনা। সকালে ক্লান্তি নিয়েই হয়তো পৌছবো কক্সবাজারে। তাতে কী ? নেমে পড়বো, ইচেছ আছে ওইদিনই সমুদ্রের জল ছুঁয়ে দেখার।
ভুল বললাম আমার পরিকল্পনা আসলে সমুদ্র স্নানের! নোনা জলের হাতছানি পাশ কাটাবো কি করে?
এরপর পুর্নিমার আলোয় সী বিচে ছুটোছুটি,গলা ছেড়ে গান এবং য়্যালকোহল...

Tuesday, January 22, 2008

বোধদয় !

বোধদয়- এই শব্দটার এরচেয়ে সফল প্রয়োগ এর আগে করার সুযোগ পাইনি! সঙ্গে মনে পড়ছে ছোট বেলায় পড়া 'গাধার ঘোলা জল খাওয়ার' সেই গল্প। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক ড. আনোয়ার হোসেন, ড. হারুন অর রশিদ, ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও ড. সদরুল আমিন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বলা উচিত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে ফকরুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার। তাহলে এতো নাটকের মানে কী?
যে পেশী শক্তির রাজনীতি অবসানের কথা বলে শপথ নিয়েছিল এই সরকার সেখানে সম্মানিত শিক্ষকদের নিয়ে তারা যা করলো তাকে যদি কেউ ওই পেশী শক্তির বাহাদুরীর সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে কী খুব অন্যায় হয়ে যাবে?
প্রশ্নটির উত্তর কিছুদিন আগেই পেয়েছি আদালতে দেয়া শিক্ষক ড. আনোয়ার হোসেনের জবানন্দী থেকে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের চিত্র তুলে এনেছেন তিনি।
* অসম্পুর্ন। পরে এক সময় লেখাটা শেষ করবো!

Tuesday, January 1, 2008

২০০৮

হুমায়ুন আজাদের কবিতা; ভালো থেকো: শুভ কামনা ইত্যাদি....

বুকিং