Wednesday, December 21, 2011

জীবন বহতা নদীর মতো..



..একটা গোলাপ রাত-দিন অহর্নিশ মৌমাছির কথা ভাবতো, কিন্তু কখনোই তার পাপড়িতে এসে মৌমাছি বসেনি!

তাতে কি? গোলাপটি তারপরও স্বপ্ন বুনে যেতো। সারারাত জেগে সে ভাবতো সেই স্বর্গের কথা যেখানে অনেক অনেক মৌমাছি উড়ে এসে বসতো তার পাপড়িতে আর মমতাময় চুমুতে ভরিয়ে দিত তাকে! এভাবেই একসময় ঘুমিয়ে পড়তো। টিকে থাকতো পরের দিন পর্যন্ত যখন সূর্যের আলোতে তার ঘুম ভাঙতো।

আকাশের ওই চাঁদ জানতো তার এই একাকিত্বের কথা। এক রাতে চাঁদ তাকে জিজ্ঞেস করলো-তুমি যে এতো অপেক্ষা করো, অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাওনা?

-হয়তো হই। কিন্তু আমাকে যে চেস্টা করে যেতেই হবে।

কেন?

কারণ আমি যদি নিজেকে এভাবে মেলে না রাখি, তাহলে তো একদিন মিলিয়ে যাবো।

যখন একাকীত্ব সমস্ত সৌন্দর্যকে পিষে ফেলতে চায়, তখন টিকে থাকার একমাত্র উপায় মনকে মেলে রাখা...।

                                  .................................

এটা পাওলো কোয়েলোর লাইক দ্য ফ্লোইং রিভার (Like the Flowing River) বইয়ের রিমেনিং ওপেন টু লাভ গল্পের কিছুটা অংশ। যখন সত্যিই আমি ক্লান্ত হয়ে উঠি তখন এই গল্পটা বারবার অনুপ্রেরনা হয়ে উঠে আমার জন্য। কতোবার যে এটা পড়েছি হিসেব নেই। এর আগে ফ্লিকারেও একটা পোষ্ট করেছিলাম। তুলে রাখলাম আমার ব্লগে।

আমার অনুবাদ পড়ে ক্লান্ত হয়ে উঠলে মুল ইংরেজি অংশটি পড়ে নিতে পারেন।  


A rose dreamed day and night about bees, but no bee ever landed on her petals.

The flower, however, continued to dream. During the long nights, she imagined a heaven full of bees, which flew down to bestow fond kisses on her. By doing this, she was able to last until the next day, when she opened again to the light of the sun.

One night, the moon, who knew of the rose's loneliness, asked: 'Aren't you tired of waiting?'
'Possibly, but I have to keep trying.'
'Why?'
'Because if I don't remain open, I will simply fade away.'

At times, when loneliness seems to crush all beauty, the only way to resist is to remain open...

Tuesday, December 20, 2011

REMAINING OPEN TO LOVE

'' Dear GOD, if you're listening please bring some light into these dark times.. A little light, please...''

 There are times when we long to be able to help someone whom we love very much, but we can do nothing. Circumstances will not allow us to approach them, or the person is closed off to any gesture of solidarity and support.

Then all we are left with is love. At such times, when we can do nothing else, we can still love - without expecting any reward or change or gratitude.

If we do this, the energy of love will begin to transform the universe about us. Wherever this energy appears, it always achieves its ends..  

REMAINING OPEN TO LOVE, From Like the Flowing River by Paulo Coelho


Tuesday, December 13, 2011

sombre


aaaand my mood is also very melancholic and moody... sometimes I just adrift. as if I fall asleep with eyes wide open in the public... I still see people in front of me talking and me saying yes, but my mind just Thirst For You.. though I would really like to be present, to be eager - so that time goes by quickly and I am sooooon back with you..., but I just can't... 

my mind just adrifts...


ফ্লিকারে অনেক আগে এই ছবিটি পোষ্ট করেছিলাম। কক্সবাজার থেকে ইনানী যাওয়ার পথে তোলা। বিষণ্ন, আমারই মতো।

পাখিটা আসলে কি বলতে চাইছে?

সেদিন রোদ ছিল না আকাশে। কুয়াশা উড়ছিল! শীতের অলস দুপুরে কিছুই ভাল লাগছিল না আমার। চারদিকে এতো হাসি, এতো উচ্ছাস কিছুই যেন টানতে পারছিল না আমাকে। সবার সঙ্গেই ছিলাম। কিন্তু কারোর সঙ্গেই ছিলাম না! কতো কথাই বলছিল আমার বন্ধুরা। হেসে গড়িয়ে পড়ছিল একেক জন। আমি মাথা-নাড়ছিলাম। হাসি-হাসি মুখ করছিলাম। সঙ্গ দিচ্ছিলাম ওদের। অথচ কি নিয়ে কথা হচ্ছে, তারা কেনই বা এতো উচ্ছসিত- কিছুই যেন শুনছিলাম না সেদিন..!

এমন করে এর আগে কখনো কি কাউকে ভালোবেসেছিলাম? এমন করে কেউ কি এর আগে বিষন্ন করে তুলেছিল আমাকে? এতোটা ভালোবাসা! এতোটা অনুভব!

ভাবছিলাম... ভাবছিলাম, কতো কিছু!

কি আশ্চর্য্য প্রায় তিন বছর পরে এসে এখনো আমার ভাবনাগুলো ঠিক একইরকম! এখনো আমি সেই আগের আমি! মানুষ নাকি বদলায়। তাহলে আমি কেন...

এখনো তেমন করেই তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠি আমি। অদ্ভুদ এক বিষণ্নতা অহর্নিশ ঘিরে থাকে আমাকে। হয়তো প্রশ্রয় পেয়ে আমার এইসব তৃষ্ণা, বিষণ্নতা কিংবা ভাবনা আমাকে গ্রাস করে ফেলছে, প্রতি দিন একটু একটু করে..! 

কোন খেয়ালে ভেসে যাচ্ছি আমি?

Sunday, December 11, 2011

শিরোনামহীন..

অনেক দিন আগের কথা.. অনেক অনেক দিন আগের গল্প। জানি না কেন কি ভেবে আকাশে উড়তে ইচ্ছে হলো! কেউ একজন আমাকে বললো- সম্ভব। পৃথীবির সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনুদিত এক বইয়ে নীল অক্ষরে লেখে দিলো, ‘কোন কিছুই অসম্ভব নয়। যদি যে নিরন্তর চেস্টা চালিয়ে যায়..'’ 


এরপর সকাল, বিকেল, সন্ধ্যে চলতে থাকলো আমার চেস্টা। নিরন্তর চেস্টা। প্রতীক্ষা দিনের পর দিন। তারপর একদিন খুব করে চেস্টা করলাম উড়তে! দু হাত দুদিকে বাড়িয়ে দিলাম.. চোখ বন্ধ করে শুন্যে ভাসিয়ে দিতে চাইলাম নিজেকে। হলো না! এতো চেস্টার পরও ওই পাখিটার মতো উড়তে পারলাম না
তাই বলে হাল ছাড়িনি। 


এখনো সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা চলতে থাকে আমার নিরন্তর চেস্টা! অসম্ভব কে সম্ভব করার সেই খেলা থামাই কি করে? নীল অক্ষরগুলো যে আমাকে প্রতিটি মুর্হুতেই বলে যাচ্ছে- ‘সম্ভব.. কোন কিছুই অসম্ভব নয়। যদি যে নিরন্তর চেস্টা চালিয়ে যায়..

Thursday, December 8, 2011

সেই অভিশপ্ত দিন..


কাজ শেষে স্টুডিও থেকে বেরিয়ে দ্রুত বাসায় ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। ইচ্ছে ছিল রাতে আরাম করে লম্বা একটা ঘুম দেয়ার। ম্যানহাটানের সেই অভিজাত বাসাটির কাছাকাছি পৌছেও গিয়েছিলেন জন লেনন। দ্রুত পা ফেলছিলেন..!
কিন্তু কে জানতো বিটলসের গিটারিস্ট আর তুমুল জনপ্রিয় গায়কের জন্য রাসতায় ওঁৎ পেতে আছে মুতু্যদুত!

কিছুদুর এগুতেই ' মি. লেনন' বলে একজন ডেকে উঠায় পেছন ফিরে তাকালেন। লোকটাকে চিনতে ভুল হয়নি। এইতো সকালে এই ভক্তটিকে অটোগ্রাফসহ একটা অ্যালবাম দিয়েছিলেন। আবার কেন ডাকছে, এই ভেবে হাসি দিয়ে তার দিকে যখন এগুতে যাবেন ঠিক তখন সেইভক্তমার্ক চ্যাপম্যান পিস্তল তাক করলেন লেননের দিকে! কিছু বুঝে উঠার আগেই একে একে পাঁচটা বুলেট.....! সবগুলোই এসে লাগে শেষ রক এন্ড রোল গ্রেট লেননের বুকে। মাটিতে পড়ে গিয়ে দুবার শুধু আর্তনাদ করেছিলেন '’আমি গুলি খেয়েছি, আমি গুলি খেয়েছি....’’

দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল, লাভ হয়নি!

সব চেস্টা ব্যর্থ করে দিয়ে লেনন ততোক্ষণে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সেই অভিশপ্ত দিন আজ! ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর ঠিক এই দিনটিতেই মার্ক চ্যাপম্যান কেড়ে নিয়েছিলেন লেননের প্রান। কেন যে বারবার ঘুরে ঘুরে এই দিনটা আসে!

কিন্তু সব মুতু্য তো আর মুতু্য নয়। প্রান কেড়ে নিলেও তার গান নিয়ে উন্মাদনা শেষ হয়নি এখনো। হবেও না আর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জনপ্রিয় হয়েই থাকবে তার গান....

কিংবদন্তীকে শ্রদ্ধা!


Thursday, October 27, 2011

অপূর্নতা

কথাগুলো কিভাবে লিখবো বুঝতে পারছি না! অদ্ভুদ এক বিষন্নতা যেন গ্রাস করে ফেলছে আমাকে। ঘুমোচ্ছি, খাচ্ছি, অফিস যাচ্ছি, ঘুরে বেড়াচ্ছি, টিভি দেখছি, গান শুনছি, কথা বলছি-তারপরও যেন মনে হচ্ছে কিছুই করছি না!
মন খারাপের চেয়েও এটা বেশি কিছু! মুহুর্তে কেমন আছি সেটা বলে বুঝাই কেমন করে?

তবে এটুকু বলতে পারি-ঠিক মনের গহীন কোণ থেকে সবার জন্য শুভকামনা তৈরি হয়েছে। আমি আর কাউকেই ঘৃনা করছি না এখন। ঘৃনা করার জন্য যে শক্তিটুকু প্রয়োজন হয় তাও তো হারিয়ে ফেলেছি! আমি চাইছি-সবাই সবার মতো করে ভালো থাকুক। অনেক ভালো।

কেন যেন মন চাইছে-সবাই ঠিক আমারই মতো করে আমাকে ভালো বাসুক। ভালোবাসার কাঙাল হয়ে উঠেছে আমার অসহায় মন! এমন কিছু সময় আসে যখন সত্যিই সবার ভালোবাসা পেতে মন চায়। ব্যাপারটা যদি ভালোবাসা না হয়ে করুণা হয় তাতেও আপত্তি থাকেনা! আমারও নেই।

আসলে নিজেকে আজকাল খুব বেশি অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। মনে হয় আমি না থাকলে কার কি আসে যায়? আমি কি আদৌ প্রয়োজনীয় কেউ ছিলাম?
প্রশ্ন দুটোর উত্তরের জন্য হলেও ভালোবাসা না হোক করুণা অন্তত প্রয়োজন। আমি ঠিক আমার পাশের মানুষদের চিনতে পারছি না।
স্রোতে ভাসতে ভাসতে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছি... কেউ তো হাতটাও বাড়িয়ে দিচ্ছে না...!

আমার যতো অপূর্নতা তাতো আমারই। কখনোই চাই না সেই অপূর্নতা ছোঁয়া এসে লাগুক অন্য কারো গায়ে। কেউ উদিগ্ন হয়ে উঠুক আমার জন্য। অপূর্নতা যেমন আমার উদিগ্ন হওয়ার অধিকারটুকুও আমারই থাক।

বছর তিনকে আগে একজন আমাকে বলেছিলেন, ‘আসলে অপূর্নতার মধ্যেই আমাদের বসবাস। সবাই আমরা কোন না কোন দিক থেকে অপূর্ন।
সম্ভবত এটাই সত্য। কারনেই হয়তো কখনোই কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে নাআমি পুরোপুরি সুখী।

সুখ তো আপেক্ষিক। সেটা হয়তো কিছুক্ষণের জন্য এসে ছুঁয়ে যায় আমাদের। সুখের সেই মুহুর্তগুলো কখনোই দীর্ঘ হয়না। মনে হয় এতো তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেলো। যদিও দুঃখের ঝাপটা এসে না লাগা পর্যন্ত বুঝতেই পারি না সুখ আসলে কিসবার জীবনেই কি এমনটা হয়?

অনেকেরই অনেক কিছু নেই। অনেকেরই অনেক কিছু পাওয়া হয় না। তাই বলে তারা কি বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও হারিয়ে ফেলে? নিশ্চয়ই না। সবারই বেঁচে থাকার সংগ্রাম চলতে থাকে, নিরন্তর.. কারো জীবনে হয়তো কখনোই সুখের দেখা মেলে না। তাই বলে সোনার হরিন ধরার চেস্টা থামবে কেন?

                                     ...................

 
আমি কি করবো ঠিক জানি না। কিংবা কি করছি সেটাও ঠিক বুঝতে পারছি না। নিজেকে খুব বেশি অচেনা মনে হচ্ছে। যেমনটা বলেছিলাম- স্রোতে ভেসে যাচ্ছি। প্রতিদিন একটু একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে আমার আমি।
                                    

                                    .....................
 
একটা কল্পনা ইদানিং বিভোর করে রাখে আমাকে। জানি না সেই কল্পনার কথা গুছিয়ে লিখতে পারবো কিনা। ব্যাপারটা এরকম-আমি একটা নৌকায় শুয়ে আছি। একা। নৌকা ভেসে যাচ্ছে স্রোতের টানে। আর আমি ওপরে নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে। কুলের দেখা নেই। ভেসে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই... আমার চোখ তখনো নীলাকাশে...

আমি ভেবে পাই না এমন একটা কল্পনা কেন বিভোর করে রাখে আমাকে?
 

                                 ......................... 
    
সম্ভবত ভালো লাগে বলেই এমন কল্পনা বারবার ফিরে আসে আমার কাছে। সম্ভবত আমার আরো কিছুক্ষণ একা থাকা প্রয়োজন।

তবে মন্দ লাগছে না, এভাবে ভেসে বেড়াতে! একসময় তো কুলের দেখা পাবোই। তখন সেটা নতুন কোন জায়গা হলে কেমন হয়? একেবারে নতুন! যেখানে আমি অপরিচিত এক মানুষ। অপরিচিত সবাই, সবকিছু!

নতুন আমি। নতুন জীবন। নতুন সংগ্রাম। নতুন করে বেঁচে থাকার আরো একটা চেস্টা...