আমি খুব একটা ভোজনরসিক নই! অন্যভাবে বলা যায় খাবার-দাবার একটু এড়িয়েই চলি। কিন্তু আজ 'না' করলে হয়তো আক্ষেপই হতো অবলম্বন! রুপালি ইলিশের আমন্ত্রন এড়িয়ে যাই কী করে..বৈশাখের আগে এমন নিমন্ত্রন কবুল করলাম।
কিন্তু পরিবেশনা যে এমন লোভনীয় হবে কে জানতো? খাবার আগে তাই ক্যামেরাবন্ধী করে রাখলাম। কি জিভে জল এসে গেছে? সেটাই তো স্বাভাবিক। বাঙালি মাত্রই ইলিশ প্রেমী। কিন্তু আগের সেই স্বাদ কি আছে? আমার নিজের অভিজ্ঞতাই এখন হয়তো গল্পের মতো শোনাবে। মনে আছে সেই ছোটবেলায় আমার বাবা ইলিশ নিয়ে বাজার থেকে ফিরতেন। মা রান্না করতেন আর পড়ার টেবিলে বসে সেই ইলিশের গন্ধ পেতাম আমরা। আমরা ভাই-বোনরা মিলে অপেক্ষা করতাম কখন মা ডাকবেন।
এরপর খাবারের টেবিলের সেই স্বাদ লেখে হয়তো বোঝানো যাবে না। আহ, চোখ বুজলেই মনে পড়ে হারানো সেই দিন! ইলিশের তেলে ভাত যখন মাখাতাম-তখন সেটা আর ভাত থাকতো না, হয়ে উঠতো অমৃত! আবদার করতাম প্রায়ই- '' মা, আরো খানিকটা ইলিশ হবে?'' মা হাসি মুখে আরো একটা পিস তুলে দিতেন পাতে! একজন বায়না করলে সবাই মিলে শুরু হতো, '' আমার জন্যও একটা চাই'' মা সেই চেনা হাসি মুখে সামাল দিতেন আমাদের। খাওয়া শেষেও হাতে লেগে থাকতো অপুর্ব এক গন্ধ। ইলিশ দিয়ে ভাত গেলাম যে..!!
কিন্তু পরিবেশনা যে এমন লোভনীয় হবে কে জানতো? খাবার আগে তাই ক্যামেরাবন্ধী করে রাখলাম। কি জিভে জল এসে গেছে? সেটাই তো স্বাভাবিক। বাঙালি মাত্রই ইলিশ প্রেমী। কিন্তু আগের সেই স্বাদ কি আছে? আমার নিজের অভিজ্ঞতাই এখন হয়তো গল্পের মতো শোনাবে। মনে আছে সেই ছোটবেলায় আমার বাবা ইলিশ নিয়ে বাজার থেকে ফিরতেন। মা রান্না করতেন আর পড়ার টেবিলে বসে সেই ইলিশের গন্ধ পেতাম আমরা। আমরা ভাই-বোনরা মিলে অপেক্ষা করতাম কখন মা ডাকবেন।
এরপর খাবারের টেবিলের সেই স্বাদ লেখে হয়তো বোঝানো যাবে না। আহ, চোখ বুজলেই মনে পড়ে হারানো সেই দিন! ইলিশের তেলে ভাত যখন মাখাতাম-তখন সেটা আর ভাত থাকতো না, হয়ে উঠতো অমৃত! আবদার করতাম প্রায়ই- '' মা, আরো খানিকটা ইলিশ হবে?'' মা হাসি মুখে আরো একটা পিস তুলে দিতেন পাতে! একজন বায়না করলে সবাই মিলে শুরু হতো, '' আমার জন্যও একটা চাই'' মা সেই চেনা হাসি মুখে সামাল দিতেন আমাদের। খাওয়া শেষেও হাতে লেগে থাকতো অপুর্ব এক গন্ধ। ইলিশ দিয়ে ভাত গেলাম যে..!!
এখন সেই স্বাদ-গন্ধ কোথায়? যতো দিন যাচ্ছে সব কিছুই কেমন যেন বিবর্ন হয়ে উঠছে! জাতীয় মাছ হয়ে উঠছে দুর্লভ! মাঝারি সাইজের ইলিশের কেজি এখন ৭০০ টাকার মতো। সহজলভ্য সেই ইলিশ সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে অনেকের। ইলিশ পাতে নিয়ে ভাবছিলাম সেই সব দিনের কথা! এমন রঙীন দিন কি আর কখনোই ফিরে আসবে না?
নস্টালজিক হয়ে উঠাকে প্রশ্রয় দিলাম না। কেননা, এখন যে শুধুই শর্ষে ইলিশে ভুরিভোজের সময়!!
4 comments:
একটা েরিিসিপ তুেল িদলাম এখােন-
ইলিশ খিচুড়ি
ইলিশ মাছ ১টা, পোলাও চাল ২ কাপ, মসুর ডাল ১/২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টে. চামচ, হলুদ ১ চা. চামচ, মরিচ ১ চা. চামচ, রসুন বাটা ১ চা. চামচ, আদা বাটা ১/২ চা. চামচ, ধনে ১ চা. চামচ, এলাচ ২টি, দারুচিনি ২ টুকরো, কাঁচামরিচ ৫/৬টি, তেল ১/২ কাপ, লবণ আন্দাজমত, পেঁয়াজ কুচি ২ চা. চামচ।
প্রণালী : মাছ বড় টুকরো করে কাটতে হবে। মাছে সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে রাখতে হবে। হাঁড়িতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে লাল হলে সব মসলা দিয়ে কষাতে হবে। কিছুক্ষণ পর মাছ দিয়ে কষাতে হবে। মাছ কষানো হলে সাবধানে তুলে রাখতে হবে। ওই মসলাতে এবার চাল ও ডাল দিয়ে কষিয়ে মাপমত গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। খিচুড়ির পানি কমে এলে তুলে রাখা মাছগুলো বিছিয়ে কম আঁচে ১৫ মিনিট দমে রেখে নামাতে হবে।
আেরকটা-
ভাপা ইলিশ
বড় ইলিশ মাছ ৬ টুকরো, পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টে. চামচ, আদা বাটা ১/৪ চা. চামচ, রসুন বাটা ১/৪ চা. চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা. চামচ, হলুদ ১/২ চা. চামচ, জিরা বাটা ১/২ চা. চামচ, ধনে বাটা ১/২ চা. চামচ, লবণ আন্দাজমত, বড় লাউ পাতা ৬টা, সরিষার তেল ১ টে. চামচ।
প্রণালী : সব মসলা, তেল ও লবণ এক সঙ্গে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার মাছের সঙ্গে ভালোমত মাখাতে হবে। লাউ পাতায় মাছ রেখে মুড়ে দিতে হবে। গরম পানির ওপর বাঁশের চালুনি রেখে তার ওপর পাতায় মোড়া মাছ রেখে ঢেকে দিতে হবে। ২০ মিনিট পর উল্টে দিতে হবে। আরও ২০ মিনিট পর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে
কুটুম খাবে কোন ইলিশ?পয়লা বৈশাখ মানে পান্তা ভাত আর ইলিশ। ইলিশ দিয়ে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে নানারকম রেসিপি দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক আফরোজা জামান ছবি কাকলী প্রধানঢাকাই ইলিশ পাতুরি
উপকরণ : মাছ আট টুকরো, কচি লাউ পাতা আটটা, সরিষা বাটা এক চা চামচ, হলুদ এক চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা এক চা চামচ, লবণ আধা চা চামচ, সরিষার তেল এক চা চামচ, বাঁধার জন্য সুতা।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. প্রথমে মাছগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
২. মাছের সঙ্গে সরিষা বাটা, হলুদ, কাঁচামরিচ বাটা, লবণ ও সরিষার তেল এক সঙ্গে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
৩. এবার কচি লাউ পাতার মধ্যে এক টুকরো মাছ দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে সুতা দিয়ে বেঁধে নিন।
৪. একটি পাত্রে গরম পানি দিয়ে ওপরে একটি ছাঁকনির ওপর মাছের টুকরোগুলো সাজিয়ে দিন।
৫. একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট ভাঁপে দিন, এবার হয়ে গেল ঢাকাই ইলিশ পাতুরি।
শর্ষে বাটায় ইলিশ কাবাব
উপকরণ : ইলিশ মাছ একটা, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, আদা বাটা এক চা চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া এক চা চামচ, টমেটো সস দুই টেবিল চামচ, সাদা সরিষা বাটা দুই টেবিল চামচ, লেবুর রস দুই চা চামচ, সয়াবিন তেল এক কাপ, ডিম একটা, ময়দা দুই চা চামচ, চিনি এক চা চামচ, কাঁচামরিচ পাঁচটি, ধনেপাতা এক আঁটি।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ইলিশ মাছ ও লেবুর রস দিয়ে সিদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন।
২. এবার বাছা মাছ ময়দা, ডিম, আটা, বাটা পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ গুঁড়া সব দিয়ে মেখে কাবাব তৈরি করে ডুবো তেলে ভেজে নিন।
৩. চুলায় চার টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম হলে টমেটো সস সরিষা বাটা ও লবণ-চিনি ধনেপাতা কাঁচামরিচ দিয়ে কষিয়ে কাবাব দিয়ে গায়ে গায়ে মসলা মাখা অবস্থায় নামিয়ে নিন।
পেঁয়াজ বেরেস্তায় ভাপা ইলিশ
উপকরণ : ইলিশ মাছ এক কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ২৫০ গ্রাম, কাঁচামরিচ আটটা, হলুদ গুঁড়া এক চা চামচ, মরিচ গুঁড়া দুই চা চামচ, টকদই ১০০ গ্রাম, চিনি এক চা চামচ, সরিষার তেল ১৫০ গ্রাম, লবণ পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাছ ছাড়া সব উপকরণ ও বেরেস্তা গুঁড়া করে বেটে নিন।
২. এরপর মাছ দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে লবণ চেখে দেখুন।
৩. টিফিন বাটি বা স্টিলের গামলায় দিয়ে পুডিংয়ের মতো ভাপে বসান।
৪. ৩০ মিনিট বেশি আঁচে ভাপে রাখুন।
৫. চুলা থেকে নামিয়ে আরো ১০ মিনিট পর পাত্রের ঢাকনা খুলে গরম পরিবেশন করুন।
ইলিশ বড়া
উপকরণ : ইলিশ মাছ একটা, আলু সিদ্ধ এক কাপ, ডিম একটা, ভাজা মসলা এক চা চামচ, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, কাঁচামরিচ কুচি পাঁচটা, ডিম একটা, সয়াবিন তেল এক কাপ, লবণ এক চামচ, শুকনা মরিচ এক চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ইলিশ মাছ সিদ্ধ করে কাঁটা বেছে নিন।
২. আলু সিদ্ধ করে ম্যাস করে নিন।
৩. ডিম সিদ্ধ করে গ্রেট করে নিন।
৪. এবার মাছ ও সব উপকরণ এবং সব মসলা নিয়ে মেখে ছোট ছোট বড়া আকারের করে ডিমে চুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন।
সুত্র: কােলর কন্ঠ
বরিশালের সরষে ইলিশ
উপকরণ
ইলিশমাছ একটি,সরিষা বাটা তিন টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ছয়টি, মরিচ বাটা এক চা চামচ, হলুদ বাটা এক চামচ, পেঁয়াজ কুচি চারটি, লবণ এক চামচ, তেল এক কাপের চারভাগের একভাগ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. সরিষা ও কাঁচামরিচ এক সঙ্গে বেটে নিন।
২. মাছের টুকরোর সঙ্গে সরিষা বাটা, মসলা ও তেল এক সঙ্গে মাখিয়ে রাখুন।
৩. একটি ঢাকনাওয়ালা স্টিলের পাত্রে অল্প একটু তেল দিয়ে এরপর মাছ বিছিয়ে দিন। মাছ এমনভাবে দেবেন যেন ওপর ও নিচে মসলা থাকে।
৪. একটি হাঁড়িতে পানি দিয়ে তার মধ্যে ঢাকনা বন্ধ করে পাত্রটি বসিয়ে দিন। পাত্রটি এমনভাবে বসাবেন যেন অর্ধেক পানিতে ডুবে থাকে।
৫. ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর উঠিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
সুত্র: কােলর কন্ঠ
Post a Comment