Friday, April 9, 2010

ছবির হাট..


বৈশাখ এসে গেলো প্রায়! আরো একটা নতুন বছর, নতুন স্বপ্ন..! চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে আজ ভালো করেই টের পেলাম নতুন আরেকটি বাংলা বছর এসে যাচ্ছে

পহেলা বৈশাখ যেমন হয়ে উঠেছে সার্বজনিন উৎসব, তেমনি মঙ্গল শোভাযাত্রাও হয়ে উঠেছে এর অংশ নতুন বছরের সেই সকালের শোভা যাত্রার প্রস্তুতি চলছে এখানে চারুকলার শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত, ভীষন ব্যস্ত! হাতে সময় খুব একটা নেই, দ্রুত তুলের আচড়ে রঙীন করে তুলছেন সবকিছু!

অন্যরকম মুগ্ধতা নিয়ে দেখছিলাম তাদের কাজ, শিল্পিত ছোঁয়া..! প্রতিবছরই যত্নের সঙ্গে এই কাজটি করে আসছেন তারা। আত্নার উৎসব বলে কথা! বেশ কয়েকবছর ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখের এই আয়োজন পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। রমনার বটমুলে সেই ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলা প্রানের উৎসবের সামনে বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। রমনার বটমুল আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই মুলত ঢাকার উৎসব।

বাংলা উইকিপিডিয়ায় এনিয়ে লেখা হয়েছে-
(
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাযানট-এর গানের মাধ্যমে নতুন বছরের সূর্যকে আহবান। পহেলা বৈশাখ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ছাযানটের শিল্পীরা সম্মিলত কন্ঠে গান গেয়ে। নতুন বছরকে আহবান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃত পক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরী হয সেটি বট গাছ নয, অশ্বত্থ গাছ। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছাযানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা।

ঢাকার বৈশাখী উৎসবের একটি আবশ্যিক অঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয। এই শোভাযাত্রায গ্রামীণ জীবণ এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। শোভাযাত্রায় সকল শ্রেণী-পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয রং-বেরঙের মুখোশ বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিলিপি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের উৎসবের একটি অন্যতম আকর্ষণ।)

আমাদের প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখের প্রতীক্ষায় আছি...

No comments: