রীতিমত রহৃপকথার গল্কেপ্পর মতোই শোনায় সবকিছু! রাঙ্গামাটির পুরানপুরা পাড়ার কোনো এক পাহাড়ে জুম চাষ নিয়ে ব্যস্টø থাকাটাই যেন তার জন্য ছিল স্ট^াভাবিক। পহৃর্বসুরীরা তো তাই করে এসেছেন। জুম চাষ, ঘরকল্পুা আর মাঝে-মধ্যে বৈসাবি উৎসবের মতো কিছু একটাÑএভাবেই তাদের সময় গেছে ফুরিয়ে।
কিল্পøু চিং ম্রাউ মার্মা এভাবে তার ছেলে-মেয়েরা বেড়ে উঠুক তা চাননি। চেয়েছেন ওরা জীবনটাকে আরো বেশি করে দেখুক। বুঝতে শিখুক রাঙ্গামাটির এই পাহাড় ছাড়িয়েও জীবন আছে। সমতল ভূমির সেই লড়াই জীবনকে সুন্দর করে দেয় আরো। তাই তো সেই ছোটবেলা থেকেই পেয়েছেন অবাধ স্ট^াধীনতা। কখনোই এটা শুনতে হয়নি যে ‘তোমার এটা করতে হবে না। ওটা কর!’
তাই বলে ফুটবলার হবেন? ঢাকায় এসে ফুটবল খেলবেন?Ñনা, এতটা ভাবেননি সাইনু প্রু মার্মা। তবে ঢাকায় এসে দুঃখ ঘোঁচানোর একটা তাগিদ তো ছিলই সব সময়। সুযোগটা এসে গেল ২০০৩ সালে। ঢাকা থেকে একদল মানুষ এসেছেন মহিলা ফুটবলার খুঁজতে। খবরটা শুনে সহপাঠীদের সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে যান সাইনু নিজেও। স্ট‹ুলে অ্যাথলেটিক্সে সেরা হলেও তখন ফুটবলে লাথি দেয়াই জানতেন না তিনি। তারপরও সাইনুর উচ্চতা আর ফিটনেস মু¹ব্দ করে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ করতে যাওয়া ফুটবল কোচদের। ৫৫ জনের মাঝ থেকে তুলে নেয়া হয় তাকে।
রাঙ্গামাটির সেই জীবন শেষে সাইনুর জন্য শুরু হয় আরেক লড়াই। চলে আসেন ঢাকায়। প্রথমে সখীপুরে আনসার ক্যা¤েক্স ঠিকানা হয় তার। এখনো তাদের সঙ্গেই আছেন। তবে মাঝের সময়টাতে ঘটে গেছে অনেক কিছু। আনসারের সেই সীমানা ডিঙ্গিয়ে তিনি উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তো সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন ‘সাইনু শুধু আমাদের দেশের সেরা মহিলা ফুটবলারই নয়, দণি এশিয়ার সেরাদের একজন।’ গলা মেলালেন আনসার মহিলা ফুটবল দলের কোচ রেহানাও ‘আসলেই অসাধারণ ফুটবলার সে। তার দুই পা-ই সমান চলে। যেটা সচরাচর দেখা যায় না। ওর ¯ল্ট্যামিনাও দুর্দাল্পø।’ এরই মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে সফর করেছেন বেশ কয়েকটি দেশে। তবে সামনে তার স্ট^পু পহৃরণের মিশনÑএসএ গেমস। সেখানে মহিলা ফুটবলে বাংলাদেশকে পদক এনে দেয়ার জন্য লড়বেন সাইনু। নিজের ব্যক্তিগত ল্য সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া।
সেই স্ট^পু হয়তো পহৃরণ হয়েও যেতে পারে। কিল্পøু আসলেই কি স্ট^পু পহৃরণ হবে পুরানপুরা পাড়া পাইলট হাইস্ট‹ুলের দশম শ্রেণীতে পড়া সাইনু প্রু মার্মার?
সেই ইঙ্গিত এখন কোথায়? সচ্ছলতার আশায় পাহাড় থেকে চলে এসেছিলেন সমতল ভূমিতে। কিল্পøু সেই সচ্ছলতার দেখা মিলেনি। আেেপর সঙ্গে বলছিলেন সাইনু ‘আমার ছোট বোন মাইনুও ফুটবল খেলে। সেও আমার সঙ্গে জাতীয় দলে আছে। আমাদের এলাকায় অনেকেই মনে করেন ফুটবল খেলে আমরা নিশ্চয়ই কোটি টাকা আয় করছি। কিল্পøু আমাদের অবস্ট’াটা এখন এরকম যে মাঝে-মধ্যে রাঙ্গামাটি থেকে ঢাকায় আসার টাকাও পাচ্ছি না।’ এখানেই থামলেন না দেশসেরা এই মহিলা ¯ল্ট্রাইকার। সঙ্গে যোগ করলেন ‘দেখুন আমাদের পরে এখানে শুরু হয়েছে মহিলা কিদ্ধকেট। অথচ কিদ্ধকেট বোর্ড অনেক সুবিধা দিচ্ছে তাদের। সে তুলনায় আমরা কিছুই পাচ্ছি না।’
তবে হতাশ নন সাইনু, তার বিশ^াস কাজী সালাউদ্দিন ঠিকই পথ দেখাবেন তাদের। দাঁড়াবেন পাশে। মিলবে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিণের সুযোগ এবং সচ্ছল জীবন। সাইনু মনে করেন সেটা করলেই কেবল সত্যিকার অর্থে জেগে উঠবে দেশের মহিলা ফুটবল। জাতীয় দলে নাম লেখাতে প্রস্টøুত থাকবে লল্ফ^া লাইন!
আর না হলে সাইনু মার্মার মতো স্ট^পু দেখতে থাকা তরুণী আর কিশোরীদের স্ট^পেুর মৃত্যু হবে অচিরেই। তখন হয়তো ফুটবল রেখে পাহাড়ের সেই জুম চাষেই জীবনের মানে খুঁজবেন তারা। নারী জাগরণ নিয়ে কথা বলা মানুষদের কানেও হয়তো যাবে না সাইনু-মাইনু কিংবা অন্য পাহাড়িদের এই জীবন সংগ্রামের গল্কপ্প।
ওদের এই সংগ্রামের শেষটা রঙিন করার দায়িÍ^ এখন ফুটবল কর্তাদেরই।
No comments:
Post a Comment