Sunday, March 28, 2010

বিষন্ন এই রোববার..


আরো একটা বিষন্ন রোববার ফিরে এলো। ফিরে এলো আমাকে আরো বেশি ক্লান্ত করে দিতে! ইদানিং একটু বেশিই হাপিয়ে উঠছি। স্মৃতিকাতর এই আমি এখনো সেই স্বপ্নের ঘোরেই আছি.. হেটে চলছি অবিরাম.. যদিও জানি না কী অপেক্ষা করছে! অবশ্য প্রয়োজনও নেই। নিয়তির হাতেই তো সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি সেই অনেক আগে।

তবে শুন্যতা আরো বেশি আকড়ে ধরছে আজ। কিন্তু গ্রেট ফার্সি সুফী কবি মওলানা জালালুদ্দিন মোহাম্মদ রুমি' ''Whispers of the Beloved'' কবিতাটা পড়তেই অদ্ভুদ এক ভালো লাগা ছুঁয়ে গেলো। এটাই কী আসলে সত্যিকারের ভালবাসার মানে? অসাধারন সুন্দর এক কবিতা! মুগ্ধ হয়ে কতোবার যে পড়লাম হিসেব নেই। পড়তে পড়তে কখন যে চোখের জল শুকিয়ে গেলো টেরই পেলাম না!

আজ এই আশ্চর্য্য বিষন্নতাই সঙ্গী হোক আমার..!! ভালো থেকো..



Rumi's Whispers of the Beloved

I cannot sleep in your prescence.
In your absence, tears prevent me.
You watch me My Beloved
On each sleepless night and
Only You see the difference
Looking at my life
I see that only Love
Has been my soul’s companion
From deep inside
My soul cries out:
Do not wait, surrender
For the sake of Love.
If you can’t smell the fragrance
Don’t come into the garden of Love.
If you’re unwilling to undress
Don’t enter into the stream of Truth.
Stay where you are.
Don’t come our way.
All year round the lover is mad,
Unkempt, lovesick and in disgrace.
Without love there is nothing but grief.
In love… what else matters?
Love is our Mother and
The way of our Prophet.
Yet it is in our nature
To fight with Love.
We can’t see you, mother,
Hidden behind dark veils
Woven by ourselves.
Do you want to enter paradise?
To walk the path of Truth
You need the grace of God.
We all face death in the end.
But on the way, be careful
Never to hurt a human heart!
Do you know what the music is saying?
“Come follow me and you will find the way.
Your mistakes can also lead you to the Truth.
When you ask, the answer will be given.”
The Master who’s full of sweetness
Is so drunk with love, he’s oblivious.
“Will you give me
some of your sweetness?”
“I have none,” he says,
unaware of his richness.
You know what love is?
It is all kindness, generosity.
Disharmony prevails when
You confuse lust with love, while
The distance between the two
Is endless.
This Love is a King
But his banner is hidden.
The Koran speaks the Truth
But its miracle is concealed.
Love has pierced with its arrow
The heart of every lover.
Blood flows but the wound is invisible.

Friday, March 26, 2010

প্রিয় বাংলাদেশ

আজ ২৬ মার্চ, এটা শুধুই নিছক আট-দশটি তারিখের মতো নয়! বাংলাদেশ নামের এই -দ্বীর প্রতিটি মানুষের জন্যই এটি আবেগের দিন! গর্বে মাথা উচু হয়ে উঠার দিন ২৫ মার্চের সেই কালো রাতের পর পাকিস্তানী হায়েনাদের জবাব দিতে জেগে উঠে বীর বাঙ্গালী এদিনই শুরু স্বাধীন ভুমির জন্য সত্যিকারের লড়াই। এরপরের ইতিহাস-রক্ত আর গৌরবের স্বাধীনতার এই ৩৯তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রতিটি শহীদ-জীবিত মুক্তিযোদ্দাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, সেক্টর কমান্ডার, বীরঙ্গনা- সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধা

শ্রদ্ধা, এমন মহান প্রান বন্ধুবর-যারা এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মানুষ না হয়েও সেই ১৯৭১ দাড়িয়েছিলেন আমাদের পাশে জাতি হিসেবে নিজেকে খুব ছোট মনে হয় যখন ওই মানুষদের সঠিক সম্মান আমরা দিতে পারি না দিতে চাই না!
অথচ আমাদের ওই দুর্দিনে তারাই দাড়িয়েছিলেন পাশে যুগিয়েছিলেন সাহস..

সকালে পত্রিকা পড়তে গিয়েই ভিনদেশী ওই সব মহান প্রান মানুষদের কথা আরো একবার মনে পড়লো মনে পড়লো নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ারে আমাদের হয়ে যিনি গেয়ে উঠেছিলেন সেই বিটলস গায়ক জর্জ হ্যারিসনের কথা এরিক ক্ল্যাপটন, রিঙ্গোস্টার, উস্তাদ আলী আকবর খান, আল্লারাখা খানসহ যারা সেই ‌'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ'- আয়োজন করেছিলেন সেই লিজেন্ডদের


পন্ডিত রবি শংকর, বব ডিলান থেকে শুরু করে আগস্ট ১৯৭১ যারা ম্যাডিসন স্কয়ারে বলেছিলেন আমাদের কথা তাদের প্রত্যেককে ১৫ কোটি বাংলাদেশীর বিনম্র শ্রদ্ধা!

কিন্তু মনের মধ্যে একটা খটকাও লাগে পন্ডিত রবি শংকর কিংবা জর্জ হ্যারিসনের ওই অবদানের বদলে আমরা কতোটুকু দিয়েছি? হ্যারিসন চলে গেছেন না ফেরার দেশে কিন্তু রবি শংকরসহ সেই কনসার্ট আয়োজনের সঙ্গে জড়িত অনেকেই বেচে আছেন তাদের কে কি এই রাস্ট্র মাথা নুইয়ে কুর্নিশ করবে না? রাস্ট্র এগিয়ে এসে
বলবে না ''আপনাদের ওই অবদান আমরা কখনোই ভুলবো না? আপনারা আমাদের আত্মার আত্মীয়।''


তাদের ওই নিখাদ ভালোবাসার জবাব দেয়ার সময় যে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে...





এটা জর্জ হ্যারিসনের সেই বাংলা-দেশ গানের লিরিক-
Bangla Desh
George Harrison

My friend came to me
With sadness in his eyes
Told me that he wanted help
Before his country dies

Although I couldn't feel the pain
I knew I had to try
Now I'm asking all of you
Help us save some lives

Bangla Desh, Bangla Desh
Where so many people are dying fast
And it sure looks like a mess
I've never seen such distress
Now won't you lend your hand
Try to understand
Relieve the people of Bangla Desh

Bangla Desh, Bangla Desh
Such a great disaster
I don't understand
But it sure looks like a mess
I never known such distress
Please don't turn away
I wanna hear you say
Relieve the people of Bangla Desh

Relieve the people of Bangla Desh

Bangla Desh, Bangla Desh
Though it may seem so far
From where we all are
It's something we can't reject
That suffering I can't neglect
Now won't you give some bread
Get the starving fed
We got to relieve Bangla Desh

Relieve the people of Bangla Desh
We got to relieve Bangla Desh

Now won't you lend your hand
Try to understand
Relieve the people of Bangla Desh

*********************************************************
প্রথম আলো পত্রিকায় হ্যারিসনের সেই বাংলাদেশ গানের বাংলা অনুবাদ করেছেন কবি সাজ্জাদ শরিফ। ভালো লাগলো তাই এখানে তুলে রাখলাম...

এল একদিন বন্ধু আমার
চোখভরা তার ধু ধু হাহাকার
বলে গেল, চাই শুধু সহায়তা
দেশ তার আজ ধুঁকে ধুঁকে মরে
বেশি কিছু আমি জানতে চাই না
শুধু বুঝি কিছু করে যেতে হবে
মিনতি জানাই সকলের কাছে:
এসো না বাঁচাই কয়েকটি প্রাণ
বাংলাদেশ...বাংলাদেশ

কত শত কত সহস্র লোক
মরে নিরন্ন
সকলই ধ্বস্ত, সবই ধুলিকণা
কখনো দেখিনি এত যন্ত্রণা
হাতে বাঁধো হাত প্রতি জনে জনে
আর রাখো মনে
বাংলাদেশের ওই মুখগুলো
বাংলাদেশ...বাংলাদেশ

কেন অকারণ
এত দুর্যোগ
সকলই ধ্বস্ত, সবই ধুলিকণা
দেখিনি কখনো এমন যাতনা...

Monday, March 22, 2010

একাকিত্ব...

আমার ওই এক অবলম্বন হয়েছে পাওলো কোয়েলো। তোমার কথায় বিরক্তিই শোনালোকেন বারবারই শুধু পাওলো ওই স্বপ্ন নির্ভর কথা? স্বপ্ন পুরন করতে চাইলে তো চোখের স্বপ্ন সরিয়ে বাস্তবতার পথেই হাটতে হবে তোমাকে।
কিন্তু সেখানেও আমাকে ওই ব্রাজিলিয়ান ৬০ বছর বয়সীতরুনে কাছেই ফিরে যেতে হয়। Like the Flowing River এর একটা গল্পের কিছুটা অংশ যতোবারই পড়ছি অন্যরকম মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে। গল্পটি অবশ্য কোয়েলোকে পাঠিয়েছিলেন তারই ভক্ত-
‘‘
এক বাগানের একটি গোলাপ ফুল সবসময়ই মৌমাছির কথা ভাবতো। ভাবতো একটা মৌমাছি এসে বসবে তার গায়ে! ভালোবাসার ছোঁয়ায় মুগ্ধ হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য কখনোই তার পাপড়িতে মৌমাছি এসে বসতো না। কিন্তু গোলাপটি ঠিকই স্বপ্ন দেখে যেতো। সবসময় সেই স্বর্গের কথা ভাবতো যেখানে অনেক অনেক মৌমাছি উড়ে এসে বসতো তার পাপড়িতে। ভালবাসার চুমুতে ভরিয়ে দিতো পুরো শরীর! এভাবে স্বপ্ন দেখে টিকে থাকতো পরের দিন পর্যন্ত। সৃর্যের আলোতে ঘুম ভাঙ্গলেই শুরু হতো প্রতীক্ষা..
গোলাপের এই একাকিত্বের কথা জানতো আকাশের ওই চাঁদ! এক রাতে চাঁদ কৌতহল চেপে না রাখতে পেরে জিজ্ঞেস করলো তুমি এই যে প্রতীক্ষা করছো, নিরন্তর স্বপ্ন দেখছো ক্লান্ত হয়ে যাও না?
তা হয়তো হই! কিন্তু দেখো আমার তো আর কিছুই করার নেই। আমাকে তো চেস্টা করে যেতেই হবে!
চাঁদ অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো কেন?’
কারন আমি যদি নিজেকে এভাবে মেলে না রাখি তাহলে একদিন তো আমি চিরতরে মিলিয়ে যাবো!’’

**
আসলেই যখন একাকিত্ব আমাদের সৌন্দর্যকে নিঃশেষ করে ফেলতে চায়, তখন টিকে থাকার একমাত্র উপায় হলো নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরা! যখন শুধুই একাকিত্ব সঙ্গী হয়ে উঠে আমাদের তখনই উচিত মনকে মেলে রাখা..

Tuesday, March 2, 2010

..এবং প্রতীক্ষা

..প্রতীক্ষায় ছিলাম, কখন আবার কথা হয় তোমার সঙ্গে! হলো, কিন্তু সত্যিই কি হলো?
অদৃশ্যহয়ে থাকলেই বরং ভালো হতো! ভালো হতো ভালো কিছুর জন্য প্রতীক্ষায় থাকা। কিন্তু তোমার ওমন ষ্পস্ট বদলে যাওয়া চেহারা, তোমার ওই অচেনা অস্তিত্ব কি সত্যিই হতাশ করেছে আমাকে? সত্যিই কি তোমার ওই কথাগুলো আমার বুকে এসে বিঁধেছে?


না, মোটেও না! আমার স্বপ্নে একটুও আচড় লাগেনি.. কোন ঘৃনাই জমা হয়নি তোমার জন্য। যাকে ভালোবাসি, যাকে সত্যি করে ভালবাসি তার জন্য ঘৃনা জন্মায় না।

তোমার এবং আমার প্রিয় লেখক পাওলো কোয়েলো যেমনটা বলেছেনএমন অনেক সময় আসে যখন আমরা আমাদের ভালবাসার মানুষটির জন্য কিছু করতে চাই। কিছু করার জন্য অস্থির হয়ে উঠে আমাদের মন! কিন্তু কিছু করতে পারি না। আসলে পরিস্থিতি আমাদের ওই ভালোবাসার মানুষটির কাছে যেতে দেয় না। অন্যভাবে বলা যায় ভালোবাসার ওই মানুষ থেকে যায় নাগালের বাইরে। সময় আমাদের হয়ে কথা বলে না!


ওই মুহুর্তে আমাদের কেবলই একটা কাজ করার থাকে- তা হলে ভালোবাসা! যে সময়গুলোতে আমাদের কিছুই করার থাকেনা। যখনই কেবলই আমরা অসহায় তখনও ভালোবাসতে পারি, কোন পুরস্কার, কোন নুন্যতম প্রতিদান কিংবা কৃতজ্ঞতার আশা না করেই আমরা শুধুই ভালোবাসতে পারি ওই ভালোবাসার মানুষকে

আর সেটা যদি আমরা করি, তবে তাহলো ভালোবাসার শক্তি ঠিকই এই অস্থির বিশ্বকে পাল্টে দেবে। পরিবর্তন করতে শুরু করবে এই জগতকে। আর এই শক্তি চলতে শুরু করলে গন্তব্যে ঠিকই পৌছবো আমরা। যেমনটা বলেছিলেন হেনরি ড্রামন্ডআসলে সময় মানু কে বদলে দেয়না। এমনকি মনের জোরও মানুষক বদলায় না! ভালোবাসা বদলে দেয় মানুষকে।’’

যেমনটা বলছিলেন শুরুতে অনেক দিন প্রতীক্ষার পর তোমার ওই কন্ঠ...! আমার এই মনে তাতেই ছুঁয়ে গেছে এক রাশ স্বস্তি। মনে হয়েছে এইতো আবার ছুঁয়ে দিলে তুমি!

এরচেয়ে বেশি কি কিছু চেয়েছিলাম? এরচেয়ে বেশি কিছু কি প্রাপ্য আমার?