‘‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুল পরী, ফুল পরী লাল পরী, লাল পরী নীল পরী, সবার সাথে ভাব করি...”
এই সুর বারবার ফিরিয়ে আনে আমাদের সাদাকালো শৈশবের রঙীন স্মৃতি। ফেলে আসা দিনের কতোশতো প্রিয় মুখ ...! প্রানহীন রঙীন ঘোড়ায় চড়ে বসতেই বেজে উঠতো এই গান। এখনো নাকি তাই হয়। ইট-কাঠের যাদুর শহরে খানিক বিনোদন তো এটুকুই।
সেদিন আমার মেয়েটা এই আনন্দে ডুবে থাকল কিছুক্ষণ। আর গানটা বেজে উঠতেই চনমনে হয়ে উঠল আরো, হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে থাকল সুন্দর মুহুর্তটাকে। চোখের কোনায় কিছুটা বিস্ময়, মুখে এক চিলতে হাসি, মা’র দিকে তাকিয়ে যেন বলতে চাইছে- ‘আমি একা, দেখো তারপরও আমি কতোটা স্বাধীন...’
কিন্তু মেয়েটা বুঝবেও না এখন আর সেই ‘স্বপ্নপুরী’ নেই, লাল পরী আর নীল পরীদের রূপকথারাও মরে গেছে! ফুল পরি’রা ফুলের গায়ে ভুলেও বসে না আর.. আগামীর পথে শুধুই কাঁটা ছড়ানো...
দানব, দৈত্যদের দাপটে ‘ভাল’রা নির্বাসনে যাচ্ছে, প্রতিদিন। ‘বোকা মানুষ’রা অভিমান করে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতি মুহুর্তে, চিরতরে!
তারপরও সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়া এই অবেলায় অগ্রজদের মতো একটাই চাওয়া-‘‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে...”
তারপরও সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়া এই অবেলায় অগ্রজদের মতো একটাই চাওয়া-‘‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে...”