Saturday, March 26, 2016

স্বাধীন...




‘‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুল পরী, ফুল পরী লাল পরী, লাল পরী নীল পরী, সবার সাথে ভাব করি...”

এই সুর বারবার ফিরিয়ে আনে আমাদের সাদাকালো শৈশবের রঙীন স্মৃতি। ফেলে আসা দিনের কতোশতো প্রিয় মুখ ...! প্রানহীন রঙীন ঘোড়ায় চড়ে বসতেই বেজে উঠতো এই গান। এখনো নাকি তাই হয়। ইট-কাঠের যাদুর শহরে খানিক বিনোদন তো এটুকুই।

সেদিন আমার মেয়েটা এই আনন্দে ডুবে থাকল কিছুক্ষণ। আর গানটা বেজে উঠতেই চনমনে হয়ে উঠল আরো, হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে থাকল সুন্দর মুহুর্তটাকে। চোখের কোনায় কিছুটা বিস্ময়, মুখে এক চিলতে হাসি, মা’র দিকে তাকিয়ে যেন বলতে চাইছে- ‘আমি একা, দেখো তারপরও আমি কতোটা স্বাধীন...’

কিন্তু মেয়েটা বুঝবেও না এখন আর সেই ‘স্বপ্নপুরী’ নেই, লাল পরী আর নীল পরীদের রূপকথারাও মরে গেছে! ফুল পরি’রা ফুলের গায়ে ভুলেও বসে না আর.. আগামীর পথে শুধুই কাঁটা ছড়ানো...


দানব, দৈত্যদের দাপটে ‘ভাল’রা নির্বাসনে যাচ্ছে, প্রতিদিন। ‘বোকা মানুষ’রা অভিমান করে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতি মুহুর্তে, চিরতরে!
তারপরও সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়া এই অবেলায় অগ্রজদের মতো একটাই চাওয়া-‌‌‘‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে...”

Saturday, March 12, 2016

''আমাকে খুঁজো না বৃথা''

তিনি থাকবেন না, চলে যাবেন "এ সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে"র মায়া ছেড়ে, শঙ্কা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। ফাল্গুনের পাতা ঝরার দিনে মধ্য দুপুর পেরোতেই শুনতেই হল শুনতে না চাওয়া সেই দুঃসংবাদ! স্বজন হারানোর তীব্র বেদনা দিয়ে 'ন্যুব্জপীঠ পানশালা' ছেড়ে চলেই গেলেন তিনি। শুধু ''নগর ধ্বংসের আগে'' বলে গেলেন ''আমাকে খুঁজো না বৃথা।''

ভাল থাকবেন প্রিয় কবি রফিক আজাদ (১৯৪২-২০১৬), আপনি বেঁচে থাকবেন, সরবে আপনি বেঁচে থাকবেন যতোদিন বাঙলা থাকবে!


Wednesday, March 2, 2016

রূপকথা তারিক জারা

আজ মেয়ের জন্মদিনে দারুণ একটা উপহার দিয়ে গেল মাশরাফির দল। ধন্যবাদ! দুই শেষ করে ৩-এ পা দিতে থাকা মেয়েটার কেক কাটার মুহুর্তটা পাশে না থাকার দুঃখ কিছুটা হলেও ভুলিয়ে দিল, মিরপুর।

আমরা ওকে ডাকি- জারা। পুরো নাম এখনো ঠিক করা হয়নি কেন জানি না! শুরুতে ঠিক হয়েছিল আরোহি তারিক জারা। এরপর কতো কিছু ঠিক করলাম। শেষ পর্যন্ত রূপকথা তারিক জারা। কিন্তু সেটাও টিকে কীনা তাই ভাবছি... :)
                                                                   ...........................

বিশ্বে কতোশত দিবস, তার কোন হিসেব নেই! প্রায় প্রতিদিনই একটা দিবস এসে হাজির। কিন্তু কিছু উপলক্ষ্য আছে যা একান্তই আমাদের। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে গোটা বাংলাদেশের আবেগ। তেমনই এক দিন ২ মার্চ! ১৯৭১ সালের এইদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম উড়েছিল বাংলাদেশের পতাকা। যাদের বিপক্ষে লড়াই করে এসেছিল স্বাধীনতা, এই বদ্বীপ পেয়েছিল একটি পতাকা, তেমনি এক ঐতিহাসিক দিনে- সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই দল পেল দুর্দান্ত এক জয়। 

শহিদ আফ্রিদির দলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়ে গেল ফাইনালের পাসওয়ার্ড।