ভালবাসা নাকি বাতাসের মতো! আপনি চাইলেই তা দেখতে পারবেন না। কিন্তু ঠিকই অনুভব করতে পারবেন! এই যেমন আমি এখন সিলেট থেকে ২৪৮ কিলোমিটার দুরে থেকেও সাকি আর সুবর্নার ভালবাসা অনুভব করতে পারছি।
চা’য়ের শহরের দুটো মানুষ তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন দিনে আমাকেও পাশে চাইছে। আনন্দ ভাগাভাগির সময় যখন হলো তখন আমাকে তারা কাছের মানুষ ভাবছে, ভাল লাগলো! নাগরিক যন্¿না কিংবা নষ্ট সময় আমাদের এতোটাই স্বার্থপর করে ফেলেছে যে দুঃখের দিনেই কেবল বন্ধু-কাছের মানুষদের মনে পড়ে। সুবর্না-সাকি তেমন নয়! সুখটাও ওরা ভাগ করে নিতে জানে।
সাকি’র সঙ্গে পরিচয়টা মুঠো ফোনে। বছর ছয়েক আগে হবে হয়তো। হঠাত্ একদিন কথা হলো। এরপর পেশাদ্বারিত্বের টানেই কথা হতো প্রায় নিয়মিত। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সম্পকর্টা শুধুই পেশাদারিত্বে আটকে থাকেনি। সেটা না হলে কি আর পারিশ্রমিকের ব্যাপার ভুলে ওভাবে কেউ দিনের পর দিন লিখে যেতে পারে? ধন্যবাদ দিলে ছোট করা হয়ে যাবে সাকি’র ওই আন্তরিকতা!
সুর্বনা’র সঙ্গে পরিচয় ওই মুঠো ফোনেই। এরপর সেই পরিচয়টা দিন দিন মজবুত হয়েছে আরো। যখন সুবর্না নারী সাংবাদিক হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার জিতলো তখন মনে হচ্ছিল এ অর্জন যেন আমারও! কাছের কেউ সম্মানিত হলে নিজেকেও সম্মানিত মনে হয়।
সাকি-সুবর্না তাদের মধুরতম দিনগুলোর প্রতীক্ষায়। আমার দুজন প্রিয় মানুষ সারা জীবন সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকার সিদান্ত নিয়েছে! ওদের জন্য অতল ভালবাসা, শুভকামনা। হাসি-মুখ দেখতে চাই সারা জীবন।
সুখী হতেই হবে...
No comments:
Post a Comment