দূর থেকে ছবিটা দেখি; যেন সূর্যের আলোয় জীবনানন্দের আঁকা ধূসর বেদনাময় রেখা!
দূর থেকে ছবিটায় দেখি কুয়াশার আড়ালে অস্পষ্ট হয়ে উঠা সেই পথ, সময়, স্মৃতি... মুঠোর ফাঁক গলে হারিয়ে যাওয়া তীব্র জীবন। যে পথ অস্পষ্টতায় মাটিতে নেমে আসা মেঘমালার মতো খুব কাছের মনে হলেও আদতে ধরা যায় না! সে সরণি স্মরণাতীত হয়ে যায় চিরতরে...
ঘুমে-স্বপ্নে বহুবার চিরকালের চেনা এই পথের ধারে সূর্যের এমন কান্না দেখে আকুল হয়ে খুঁজে বেড়াই.... কী যেন! -শৈশব?
সময় যায়, অহেতুক জীবনের বয়স বাড়ে! মেঘাচ্ছন্নতায় এই উজ্বল আলোর পথটাও মলিন হয়ে যায় ক্রমশ, এমন টলটলে জলের মতো স্বচ্ছ স্মৃতিতে সবুজ কচুরিপানার আস্তরণ। বুঝতে পারি কুয়াশাচ্ছন্ন এই আমাকে পুরোপুরি ফিরিয়ে নেবে না আর কোনোদিন।
দূর থেকে ছবিটা ডাকে; মায়ের মতো গভীর এক জলজ ডাক...আমি ধীরে নিঃশব্দে পা ফেলে কাছে যাই; বড় শহরের সমস্ত অবহেলা-অপমান সঙ্গী করে তার চিরচেনা ছায়ায় দাঁড়াই... বুক ভরে নিঃশ্বাস নেই, ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমে; আমার সময়টা থমকে যায় এই শীতল ছায়ায়...এমন নিবিড়তায়!
দূর থেকে ছবিটা দেখি, ধূসর বেদনাময় রেখা প্রখর হয়ে ওঠে! হিসেব মেলে না, রঙ মিলিয়ে যেতে থাকে...কথা খুঁজে পাই না, তাই চুপ হয়ে যাই!