Tuesday, July 19, 2016

জ্বিভে জল আনা পুরানো ঢাকার বিখ্যাত ৫০ খাবার

পুরনো ঢাকার খাবার মানেই লোভনীয়! চারশ বছরের পুরনো ঐতিহ্য বলে কথা। কিছুটা মান হারালেও সেই মিথ এখনো বহন করে চলছে পুরনো ঢাকা। ভোজনরসিকরা সময় পেলেই ছুটে যান সেখানে। রসনা তৃপ্ত হয়ে ফিরেন ঘরে।

এবার চলুন দেখে নেই পুরনো ঢাকার বিখ্যাত ৫০টি খাবার হোটেলের নাম, ঠিকানা। সুযোগ মতো আপনিও সেই খাবারে পেট পুজো করে আসতে পারেন। মিলিয়ে নিন, লিস্ট।

হোটেলের নাম, ঠিকানা-

১. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি, গ্লাসি, মোরগ পোলাও।
২. লালবাগ রয়্যালের কাচ্চি, জাফরান-বাদামের শরবত, চিকেন টিক্কা আর সেরা লাবান, কাশ্মীরী নান।
৩. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসির লেকুশ, চিংড়ি ,ফালুদা।
৪. নবাবপুর আরজু হোটেল এর মোরগ পোলাও, নাশতা আর কাচ্চি।
৫. নারিন্দার ঝুনু বিরিয়ানি
৬. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানি।
৭. নাজিমুদ্দিন রোডের হোটেল নিরবের অনেক ধরনের ভর্তা।
৮. নাজিরা বাজারের হাজি বিরিয়ানি এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানি।
৯. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ি, কাটারী পোলাও।
১০. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার।
১১. বেচারাম দেউরীতে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও।
১২. ঠাটারীবাজার স্টার এর কাচ্চি বিরিয়ানি, লেগ রোস্ট আর ফালুদা।
১৩. ঠাটারী বাজারের গ্রিন সুইটস এর আমিত্তি, জিলাপি।
১৪. রায় সাহেব বাজারের গলিতে মাখন মিয়ার পোলাও।
১৫. সুত্রাপুর বাজারের রহিম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি।
১৬. গেন্ডারিয়ার রহমানিয়া এর কাবাব।
১৭. কলতাবাজারের নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংস আর পরাটা ।
১৮. ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের চা ১।
১৯. দয়াগঞ্জের সিটি বিরিয়ানি ও কাচ্চি ।
২০. নারিন্দার সফর বিরিয়ানি ।
২১. আরমানিটোলা তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি ।
২২. সিদ্দিক বাজারের মাজাহার সুইটস ।
২৩. সুত্রাপুর ডালপট্টির বুদ্ধুর পুরি ।
২৪. আবুল হাসনাত রোড এর কলকাতা কাচ্চি ঘর ।
২৫. রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি আর চকবাজারের নুরানী শরবত।
২৬. গেন্ডারিয়ার সোনা মিয়ার দই।
২৭. লালবাগ মোড় এর মীরা মিয়ার চিকেন ফ্রাই আর গরুর শিক।
২৮. লালবাগ চৌরাস্তার খেতাপুরি।
২৯. মতিঝিল শাপলা চত্বর হিরাঝিলের চা।
৩০. নাজিরা বাজারের ডালরুটি ।
৩১. গেন্ডারিয়া ভাটিখানার হাসেম বাঙ্গালির ডালপুরি ।
৩২. রায়সাহেব বাজারের আল ইসলামের মোরগ পোলাও, চিকেন টিক্কা।
৩৩. বাংলাবাজারের বিখ্যাত কাফে কর্নার এর কাকলেট ও চপ।
৩৪. বাংলাবাজারের বিখ্যাত চৌরঙ্গী হোটেলের পরাটা, ডাল ।
৩৫. রায়সাহেব বাজারে কাফে ইউসুফের নান ও চিকেন টিক্কা ।
৩৬. নবাব পুরের মরণ চাঁদ মিষ্টির দোকানের ভাজি-পরোটা, মিষ্টি ও টক দই ।
৩৭. লক্ষীবাজার এর মাসহুর সুইটমিট এর লুচি, ভাজি আর ডাল।
৩৮. লালবাগের পাক-পাঞ্জাতন এর মজার তেহারি ।
৩৯. দয়াগঞ্জ এর ঢাকা কাবাব ।
৪০. ওয়াইজ ঘাটের নানা রেঁস্তোরা ।
৪১. শাখারী বাজারের অমূল্য সুইটস এর পরোটা-ভাজি ।
৪২. তাতিবাজারের কাশ্মীর এর কাচ্চি।
৪৩. নারিন্দায় সৌরভ এর মাঠা আর ছানা ।
৪৪. আবুল হাসনাত রোডের কলকাতা কাচ্চি ঘর।
৪৫. আবুল হাসনাত রোডের দয়াল সুইটস এর মিষ্টি।
৪৬. নারিন্দায় অবস্থিত রাসেল হোটেলের নাশতা ।
৪৭. ঠাটারী বাজারের বটতলার কাবাব ।
৪৮. টিপু সুলতান রোডে অবস্থিত হোটেল খান এর টাকি মাছের পুরি।
৪৯. লক্ষীবাজার পাতলাখান লেনের লুচি-ভাজি ।
৫০. বেচারাম দেউড়িতে হাজী ইমাম এর বিরিয়ানি ।

















Tuesday, July 5, 2016

এ কেমন ঈদ!

আজ চাঁদ উঠলে কাল ঈদ। না উঠলে পরশু! টিভি-রেডিওতে বাজতে থাকবে নজরুলের সেই 'কিংবদন্তি' হয়ে যাওয়া গান, ''ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ..'' প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে এরইমধ্যে যাত্রা পথের শত কষ্ট একপাশে সরিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন অনেকেই। নাড়ির টান বলে কথা!
কিন্তু সত্যিই কি এবার খুশির বারতা ছড়িয়ে ঈদ আসছে? যেমন একটা ঈদের জন্য ছোট্ট শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রতীক্ষায় থাকেন, তেমনই কী এবারেরটি। প্রশ্ন থেকে যায়।
ইস্তাম্বুল আক্রান্ত; অতিথি পরায়ন বাংলাদেশ দেখল গুলশানে ভিনদেশী বন্ধুদের রক্তের বন্যা, কী হয়ে গেল এটা! হৃদয়ে রক্তক্ষরণ গোটা জাতির। বাগদাদের পর এবার খোদ জেদ্দা, মদীনাতেও বোমা হামলা! মসজিদে নববী আক্রান্ত! চারদিকে শুধু রক্ত আর কান্না। বিবর্ণ ধুসর প্রানহীন অন্য এক পৃথীবি, এই আমার ঢাকা!
এ কেমন ঈদ এলো এবার...

Saturday, July 2, 2016

গুলশান; ২ জুলাই ২০১৬

গুলশানের আকাশ মুখ গোমড়া করে আছে, কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি ঝরল এক পশলা। থমথমে নগরীর এই প্রান্তের হাসি মিলিয়ে গেছে কাল রাত থেকেই। পিচ ঢালা রাজপথ ফাঁকা পড়ে আছে! কী হচ্ছে, কী হল- বুঝে উঠতে পারছি না। যেন অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে; অবহেলায় অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়ার ফাঁদে হঠাৎ আচমকা লাল-সবুজের কী যেন হয়ে গেল- হিসেব মেলাতে পারছি না। আমাদের এই বিবর্ণ সময়ের ঘড়ি স্থির হয়ে গেছে!

এতো মৃত্যু, এতো রক্ত আর কান্না! অতিথিপরায়ন এই দেশেই কীনা একসঙ্গে ১৭ ভিনদেশী বন্ধুর গলাকাটা লাশ!

হায় গুলশান, হায়, হায়!! শেষ বিকেলের বিষন্ন আলোয় কী লিখবো, মন খারাপের এই প্রহরে কী বলবো.. ভাবছি।