‘‘আমাদের
যাকে যাকে প্রয়োজন তারাই পালায়...’’
আতাউস সামাদও আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন!
এই মানুষটির সঙ্গে অনেকটা সময় কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল
আমার। অর্ধযুগ তো আর কম নয়! তার নামের সঙ্গে অবশ্য অনেক আগে থেকেই পরিচিত। বিবিসি’তে
কত্তো শুনেছি। পরে কাজ করতে এসে সরাসরিই পরিচয় হলো।
প্রথম দিন দেখাতেই অবাক হয়েছিলাম। এত বড় সাংবাদিক
কিন্তু কেমন যেন সাদামাটা জীবনযাপন! কোনো অহংবোধ নেই! সাধারণের মতোই কথা বলে
যাচ্ছেন আমাদের সঙ্গে। চলাফেরায় কেমন যেন একটা তাড়াহুড়ো ভাব! বয়সকে পাত্তা দেওয়ার
সময় কোথায়?
আতাউস সামাদের সাংবাদিক সত্তা নিয়ে কিছু বলার মতো
ঔদ্ধত্য দেখাতে চাই না।
ব্যক্তি আতাউস সামাদ সম্পর্কে এক লাইনে আমার উপলব্ধি-‘বড়
ভালো মানুষ ছিলেন।’
৬৯’র গন অভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এরপর স্বৈরাচার
বিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী ভুমিকার কথা রাজনৈতিক সচেতন সবারই জানা।
ওয়ান ইলেভেনের সময় যখন ‘আমার দেশ’
বেঁচে থাকার প্রাণান্@ লড়াই করছে তখন দেখেছি তার সাহসী নেতৃত্ব। ওভাবে আতাউস সামাদ
সামনে না থাকলে হয়তো বন্ধই হয়ে যেত পত্রিকাটি। অসুস্থ শরীরেই দিনরাত
পরিশ্রম করে গেছেন!
অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন-খবরটা
পেয়েছিলাম আগেই। শুনেছিলাম তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা।
মনে ক্ষীণ একটা আশা ছিল-ফিরবেন!
কিন্তু তিনিও চলে গেলেন; চলে গেলেন না ফেরার দেশে...